ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনা রোধে আনন্দবাগের বিস্ময়কর উদ্যোগ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২০  

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আনন্দবাগ গ্রাম। তিনটি রাস্তা দিয়েই এ গ্রামে ঢুকতে পারে মানুষ। করোনাভাইরাসের কারণে সেই তিন রাস্তার মোড়েই দেয়া হয়েছে একটি বাঁশের ব্যারিকেড। যেখানে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্বে রয়েছেন এক ব্যক্তি। ওই গ্রামে ঢুকতে হলেই তাদের কাছে পরিচয় ও প্রয়োজনের কথা বলতে হয়। এসব নিশ্চিত হলে পুরো শরীরে জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করার পর গ্রামে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সব রাস্তার মোড়ে কাজ করছে গ্রামের যুবকরা।
এদিকে প্রয়োজন ছাড়া ওই গ্রামের বাসিন্দাদের বের হতে দেয়া হচ্ছে না। জরুরি প্রয়োজনে দিলেও বের হতে ও ঢোকার সময় তাদেরও জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করা হয়।

স্থানীয়ভাবে লকাডাউন করায় দিনমজুর পরিবার যাতে বিপাকে না পড়ে, সে জন্য তালিকা করে পরিবারপ্রতি ১০ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, এক লিটার তেলসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আনন্দবাগ গ্রামে ১৪০টি পরিবার রয়েছে। দুই হাজারের বেশি মানুষের বসবাস।

গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তারা পর্যায়ক্রমে গ্রামকে নজরদারি রাখছেন। লকডাউনে যা যা করণীয় সবই করছেন। গত তিনদিন গ্রামকে এভাবে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।

শনিবার ওই গ্রামে যাওয়া হয়। এ সময় গ্রামের পাইকপাড়া মোড়ে একটি বাঁশের ব্যারিকেড দেখা যায়। সেখানে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষক রুহুল আমিন। তাদের কাছে যাওয়া মাত্রই জীবাণুনাশক দিয়ে পুরো শরীর স্প্রে করে দেন দুই যুবক। এরপর সংবাদকর্মী শুনতেই যুবকরা বললেন, তারা এভাবেই দায়িত্ব পালন করছেন। গ্রামে যে কেউ ঢোকার আগে এভাবে স্প্রে করা হয়।

গ্রামের আরেক মোড়ে মুখে মাস্ক পরে কয়েকজন যুবককে নিয়ে আব্দুল ওয়াদেহ নামে একজন দায়িত্ব পালন করছেন। গ্রামের খয়েরতলা মোড়ে দায়িত্ব পালন করছেন মেহেরুল ইসলাম নামে আরেকজন।

দায়িত্বরত শিক্ষক রুহুল আমিন ও আব্দুল ওয়াহেদ জানান, কীভাবে গ্রাম সুরক্ষিত রাখা যায় এ বিষয়ে ২৫ মার্চ গ্রামের একটি মসজিদে বসে আলোচনা করা হয়। গ্রাম বাঁচাতে সরকারের পাশাপাশি নিজেদেরও উদ্যোগ নিতে হবে বলে সেখানে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে অনুমতি পান। ২৬ মার্চ দুপুর থেকে আনন্দবাগ গ্রামটি স্থানীয়ভাবে লকডাউন করা হয়।

গ্রামের বাসিন্দা মোবাশ্বের হোসেন জানান, গ্রামটি লকডাউন করায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এমন কথা চিন্তা করে হতদরিদ্র মানুষের একটা তালিকা তৈরি করেন তারা। তালিকায় ২০টি পরিবারের নাম রয়েছে। এ অবস্থা যতদিন চলবে, ততদিন গ্রামের অন্যরা তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে সহায়তা নিয়ে যাবেন।

তালিকাভুক্ত দিনমজুর এনামুল হক ও রিকশাচালক মহাসিন আলী জানান, ঘর থেকে বের না হলে ঘরে রান্না হয় না। লকডাউন হওয়ায় তাদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী তাদের সহায়তা দেবে গ্রামবাসী।

কালীগঞ্জের ইউএনও সুবর্ণা রাণী সাহা জানান, বিষয়টি জানানো হয়েছে। গ্রামবাসীর এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।