ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

উন্নয়নের ফলে ক্রমান্বয়ে কমছে দেশে দারিদ্র্যের হার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০১৯  

দেশে এখন দারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ। আর অতিদারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩ শতাংশে। ২০১৮ সালের প্রক্ষেপন অনুযায়ী বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। যেখানে ২০১৭ সালে দেশের সার্বিক দারিদ্র্যের হার ছিল ২৩ দশমিক ১ শতাংশ। আর অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ১২ দশমিক ১ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্যের হার কমেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।

সোমবার হাইজহোল্ড ইনকাম এন্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে (হায়েস) প্রকল্পের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করে বিবিএস। প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, বিবিএসের মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন। এ সময় প্রকল্প পরিচালক ড. দিপংকর রায়, পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং যুগ্ম পরিচালক এ কেএম আশরাফুল হক উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ দশমিক শুণ্য শতাংশ, ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে। ২০০৫ সালে যেখানে অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ২৫ দশমিক ১ শতাংশ সেখানে ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ।

কৃষ্ণা গায়েন জানান, ২০০৫ সালে মোট ১০ হাজার ৮০টি পরিবার, ২০১০ সালে ১২ হাজার ২৪০টি পরিবার নিয়ে জরিপ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে নমুনা খানার সংখ্যা বাড়িয়ে ৪৬ হাজার ৮০টি করা হয়। এই প্রকল্পের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করা হয় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্ব দারিদ্র্য নিরসন দিবসে।

খানার আয় ব্যয়: জরিপ অনুযায়ী দেশের খানা প্রতি মাসিক আয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। ২০১০ সালে ছিল ১১ হাজার ৪৭৯ টাকা। মাথাপিছু আয় ২০১৬ সালে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৪০ টাকা, যা ২০১০ সালে ছিল ২ হাজার ৫৫৩ টাকা। সর্বশেষ হিসেবে পরিবার ভিত্তিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা। ২০১০ সালে যা ছিল ১১ হাজার ২০০ টাকা।

মাথাপিছু আয় ও ব্যয় বাড়লেও খাদ্যগ্রহণের প্রবণতা কমে এসেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে মাথাপিছু ৪১৬ গ্রাম ভাত গ্রহণ করা হলেও এর পরিমাণ নেমেছে ৩৬৭ গ্রামে। ২০১০ সালে মাথাপিছু গম গ্রহণের প্রবণতা ১৯ দশমিক ৮৩ গ্রাম। ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ২৬ দশমিক ০৯ গ্রাম। মাথাপিছু ক্যালরি গ্রহণের ২০১৬ সালে ২ হাজার ২১০ কিলোক্যালরিতে নেমে এসেছে। ২০১০ সালে মাথাপিছু গড়ে ২ হাজার ৩১৮ কিলো ক্যালরি খাদ্য গ্রহণ করা হতো।

স্বাধীনতার পর থেকে অর্থের বড় অংশ খাদ্যে ব্যয় করা হলেও এবার খাদ্য বহির্ভূত খাতে বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে পরিবারগুলোর গড় অর্থ ব্যয়ের ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ ব্যয় হয়েছে খাদ্যে। এ সময়ে খাদ্যবহির্ভূত খাতে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৫২ দশমিক ৩০ শতাংশে।