ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আখাউড়ায় বিএনপি নেতাদের পদত্যাগের হিড়িক

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২১  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিএনপি নেতাদের পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। আখাউড়া পৌরসভার আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে তফসিল ঘোষণার পরপরই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়। এ কমিটি ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এ পদত্যাগের হিড়িক পড়ে।

এরই মধ্যে ওই আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১১ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন। গত  ১৩ থেকে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে তারা পদত্যাগ করেন। এমন অবস্থায় পৌরসভার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা তো দূরের কথা এখন দলের পরিস্থিতি নিয়েই সাধারণ কর্মীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পদত্যাগকারী নেতারা হলেন পৌর বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি মো. বাহার মিয়া, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান (কাউন্সিলর), সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. মন্তাজ মিয়া (কাউন্সিলর), সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাবুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল ভুইয়া, সাবেক উপদেষ্টা মো. এলাই মিয়া, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ মালদার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মশিউর রহমান বাবুল, সাবেক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মো সহিদুল ইসলাম, আহবায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম রানা, সদস্য রহিজ খান।

পদত্যাগপত্রে বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে অন্য উপজেলার ইউনিয়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদককে নির্বাচিত করা। দলের কারো সঙ্গে পরিচিতি নেই এমন অনেক ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা ও বিলুপ্ত কমিটির ১০১ জনের মধ্যে মাত্র সাতজনকে নতুন কমিটিতে স্থান দেয়া।

জেলা বিএনপি আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান গত ১৩ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সেলিম ভূইয়াকে আহ্বায়ক ও আক্তার খানকে সদস্য সচিব করে আখাউড়া পৌর বিএনপির ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। গত ১৬ জানুয়ারি জিল্লুর রহমান নিজের ফেসবুকে আইডিতে এটি পোস্ট করেন।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেলিম ভূইয়া সদর উপজেলার বরিশল গ্রামের বাসিন্দা ও সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়া লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রহমান ওরফে সানির চাচাতো ভাই হলেন সেলিম ভূঁইয়া। মূলত সানির বড় ভাই বরিশল গ্রামের বাসিন্দা ও ভূইয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কবির আহমেদের হাত ধরেই সেলিম ভূঁইয়া দলে প্রবেশ করেছেন বলে আলোচনা আছে।

নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, সেলিম ভূঁইয়া পৌর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে কখনোই জড়িত ছিলেন না। পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ড বিএনপির কেউই তাকে চিনেন না। সদস্য সচিব আক্তার খান একজন শ্রমিক নেতা। তার সঙ্গেও পৌর বিএনপির কারো সম্পর্ক নেই। সদ্য বিলুপ্ত আখাউড়া পৌর বিএনপির ১০১ সদস্যের কমিটি থেকে মাত্র সাতজনকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা শাহাদাত হোসেনকে সদস্য পদেও রাখা হয়নি। নবঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির ২৪ জন সদস্যের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া অন্যরা কখনোই বিএনপির দলীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

নেতা-কর্মীরা জানান, গত ২৪ ডিসেম্বর আখাউড়া পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান কমিটি বিলুপ্তির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, সংশ্লিষ্ট পৌরসভার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হবে। কিন্তু জিল্লুর রহমান পৌর কমিটির কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে পদত্যাগ করা সাবেক সভাপতি মো. বাহার মিয়া জানান, রাজনৈতিক কারণে ১৯৯৯ সালে তিনি এক মাস কারাভোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। ২০১৩ সালে তার ছেলে ও ভাতিজার নামে দুটি মামলা হয়েছে যা চলমান।

তিনি বলেন, আমার মতো অনেক ত্যাগী নেতাকেই বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই অন্য উপজেলার লোকজনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। আমরা তার নেতৃত্বে থাকবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিএনপির রাজনীতিকে ঘরে ঢুকিয়ে ফেলা হয়েছে। এভাবে তো আর রাজনীতি করা সম্ভব না।

পদত্যাগ করা মন্তাজ মিয়া বলেন, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির অধিকাংশ সদস্যই অতীতে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না।

আতিকুর রহমান বলেন, এখন কমিটিতে নতুন নতুন মুখ। বাহার ভাই ছাড়া সবাই রাজনৈতিকভাবে আমার ছোট।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জিল্লুর রহমান জানান, পদ না পেলে অনেকেই অনেক কিছু বলেন। দলে ইয়ং ফোর্স দরকার বলে সেভাবেই নতুন কমিটি দেয়া হয়েছে।