ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৪ হাজার ‘বীর নিবাস’ তৈরি করবে সরকার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০  

অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসনের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৪ হাজার পাকাবাড়ি নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জাতীয় পতাকার রং লাল-সবুজে রাঙানো এসব বাড়ির নাম হবে ‘বীর নিবাস’।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে একতলা এসব বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হবে। বারান্দাসহ দুই বেডরুমের প্রতিটি বাড়িতে থাকবে আলাদা শৌচাগার ও টিউবওয়েল। গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালনের জন্যও পৃথক শেডের ব্যবস্থা থাকবে।

এর আগে প্রথম পর্যায়ে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ২ হাজার ৯৬১টি আবাসন নির্মাণ করে সরকার। এর নির্মাণকাজ ২০১৮ সালে শেষ হয়। অসহায় ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতেই দ্বিতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

এদিকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চার শতাংশ জমিতে ৯৮০ বর্গফুটের প্রতিটি বাড়ি নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। ২ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব এরই মধ্যে তৈরি করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনা কমিশনে শিগগিরই তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুজিববর্ষে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গৃহ নির্মাণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি করে বাড়ি তৈরি করে দেয়া হবে। মুজিববর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে সম্মানিত করা হবে। এছাড়া স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য থাকবে অনেক উপহার।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এটি ২০২৩ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, প্রকল্পটি একনেকের অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। একনেকের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকল্প পরিচালকসহ জনবল নিয়োগ করে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হবে।

সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের পর সারাদেশের ইউএনওদের মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হবে। এ ক্ষেত্রে ইউএনও কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদনটি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই শেষে সরাসরি তাদের বিপরীতে আবাসন বরাদ্দ দেবে। সুবিধাভোগী নির্বাচনের জন্য উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওকে সভাপতি ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে।

সূত্র জানায়, এ বাড়ি বরাদ্দের জন্য অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ-প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী ও সন্তান আবেদন করতে পারবেন। বীরাঙ্গনাদের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি বরাদ্দ দেয়া হবে।

এদিকে প্রকল্প প্রস্তাবের ‘বরাদ্দপ্রাপ্ত আবাসনের ব্যবহার’ শীর্ষক কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, সুবিধাভোগীকে বরাদ্দপ্রাপ্ত বাড়িটি শুধু নিজের বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করবেন মর্মে অঙ্গীকার করতে হবে। কোনোভাবেই বিক্রি বা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

এছাড়া নির্মিত বাড়িটির মূল অবকাঠামোগত কোনো পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা যাবে না। বাড়িটি সংস্কার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় সুবিধাভোগী নিজেই বহন করবেন।