ব্রেকিং:
নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রাখাইনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখলের দ্বারপ্রান্তে আরাকান আর্মি কুমিল্লা সিটির প্রথম নারী মেয়র হলেন তাহসীন বাহার ভাঙারির দোকান থেকে উদ্ধার হলো ১১ মণ সরকারি বই অবশেষে ন্যাটোর সদস্যপদ পেলো সুইডেন বাজারে নেই নতুন দামের সয়াবিন তেল, দাম বেড়েছে সবকিছুর ভারতে পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৮ কার্গো জাহাজে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৩ চলছে কর্মযজ্ঞ, অক্টোবরে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল চালু আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন রাষ্ট্রপতি গার্ডেন থিয়েটার কুমিল্লার একক নাট্য প্রদর্শনী ১০ রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ ইঞ্জিন বিকল, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ রোজায় কমলো অফিসের সময়সূচি গাড়ি তৈরি করবে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ: শিল্পমন্ত্রী পরিবেশ রক্ষায় চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত বাংলাদেশ ও সৌদি আরব
  • মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

জন্মনিবন্ধনের সই নিতে গিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে ধর্ষণের শিকার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৩  

এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৯ মে) রাতে বিষয়টি ৬ লাখ টাকায় রফাদফা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি জন্মনিবন্ধনে চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দারের সই প্রয়োজন পড়ে। ১৮ মে জোহরের নামাজের পর ওই নারী ইউপি সদস্য ফোন দিলে চেয়ারম্যান তাকে বাসায় যেতে বলেন। চেয়ারম্যান বাসায় একা ছিলেন। ওই নারী ইউপি সদস্য তার বাসায় গেলে দরজা বন্ধ করেন দেন। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান।

ওই নারী ঘটনা প্রকাশ করে দিতে চাইলে চেয়ারম্যান বিয়ের আশ্বাস দেন। এর কয়েকদিন পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। একপর্যায়ে ওই নারীর পরিবারের সদস্য ও তার স্বামী ঘটনাটি জেনে ফেলেন। ২৫ মে ওই নারীর স্বামী তালাক দেন। নিরুপায় হয়ে ইউপি সদস্য আশুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার কাছে বিচার চান এবং বিয়ের দাবি করেন।

সোমবার (২৯ মে) বিকেলে হাজি ছফিউল্লাহ মিয়ার অফিসে এ বিষয় নিয়ে বৈঠক হলে সমাধান না করেই সবাই চলে যান। ওইদিন রাতেই তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামের সাবিনা মেম্বারের বাড়িতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়, তালশহর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রশিদ মেম্বার, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার ও ভুক্তভোগী ওই নারী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ছয় লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি জোরপূর্বক আপস মীমাংসা করা হয়। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে আরেক নারী সদস্যের মোবাইলে কল দিলে তার স্বামী নূরুল আমিন সরকার রিসিভ করেন। তিনি বলেন, রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী আমাদের বাসায় এসেছিলেন। সবাই বসে কথা বলেছেন। তবে টাকা দিয়ে সমাধানের বিষয়টি আমার জানা নাই।

এ বিষয়ে তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার বলেন, ইউনিয়নের বরাদ্দ নিয়ে মেম্বারদের সঙ্গে অনেক সময় ঝামেলা হয়। কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এমন কথা বলছে। এসব তথ্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।