ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জন্মনিবন্ধনের সই নিতে গিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে ধর্ষণের শিকার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৩  

এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৯ মে) রাতে বিষয়টি ৬ লাখ টাকায় রফাদফা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি জন্মনিবন্ধনে চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দারের সই প্রয়োজন পড়ে। ১৮ মে জোহরের নামাজের পর ওই নারী ইউপি সদস্য ফোন দিলে চেয়ারম্যান তাকে বাসায় যেতে বলেন। চেয়ারম্যান বাসায় একা ছিলেন। ওই নারী ইউপি সদস্য তার বাসায় গেলে দরজা বন্ধ করেন দেন। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান।

ওই নারী ঘটনা প্রকাশ করে দিতে চাইলে চেয়ারম্যান বিয়ের আশ্বাস দেন। এর কয়েকদিন পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। একপর্যায়ে ওই নারীর পরিবারের সদস্য ও তার স্বামী ঘটনাটি জেনে ফেলেন। ২৫ মে ওই নারীর স্বামী তালাক দেন। নিরুপায় হয়ে ইউপি সদস্য আশুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার কাছে বিচার চান এবং বিয়ের দাবি করেন।

সোমবার (২৯ মে) বিকেলে হাজি ছফিউল্লাহ মিয়ার অফিসে এ বিষয় নিয়ে বৈঠক হলে সমাধান না করেই সবাই চলে যান। ওইদিন রাতেই তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামের সাবিনা মেম্বারের বাড়িতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়, তালশহর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রশিদ মেম্বার, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার ও ভুক্তভোগী ওই নারী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ছয় লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি জোরপূর্বক আপস মীমাংসা করা হয়। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে আরেক নারী সদস্যের মোবাইলে কল দিলে তার স্বামী নূরুল আমিন সরকার রিসিভ করেন। তিনি বলেন, রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী আমাদের বাসায় এসেছিলেন। সবাই বসে কথা বলেছেন। তবে টাকা দিয়ে সমাধানের বিষয়টি আমার জানা নাই।

এ বিষয়ে তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার বলেন, ইউনিয়নের বরাদ্দ নিয়ে মেম্বারদের সঙ্গে অনেক সময় ঝামেলা হয়। কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এমন কথা বলছে। এসব তথ্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।