ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

২০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী যুদ্ধবিধ্বস্ত কাঠের বাড়ি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২২  

প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কাঠের তৈরি ফেনীর অপু চৌধুরীর বাড়ি। ইতিহাস আর ঐতিহ্যে ভরপুর এই বাড়িটি জেলার ফুলগাজীতে অবস্থিত। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই বাড়িতে লুকিয়ে আছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও।

দোতলা এই বাড়ির ভেতরে রয়েছে অপূর্ব কারুকাজ। প্রাচীন এই বাড়ির দেওয়ালের আনাচে-কানাচে আছে সৌন্দর্যের ছোঁয়া। মিয়ানমার থেকে আনা মালামাল দিয়ে নির্মিত হয়েছিল বাড়িটি।

মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিবিজড়িত দুইশ বছরের পুরনো এই বাড়িটি দেখতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসেন ঐতিহ্যপ্রেমীরা।

এ বাড়ির উত্তরাধিকারী অপু রঞ্জন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন আমজাদহাট ইউনিয়নের মধ্যে এই বাড়িটা সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের কারণে পাক হানাদার ও রাজাকাররা বাড়িটিকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছিল। হামলার ঘটনার আগে টের পেয়ে সবাই সরে গিয়েছিল। ফলে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এত বছর পেরিয়ে গেলেও বাড়িটির পুনর্বাসন বা পুনর্নির্মাণের কোনো কাজ করা হয়নি। দোতলা বিশিষ্ট এই বাড়িটির ঘরে এখনও মানুষ বসবাস করে।

তিনি আরও বলেন, স্থাপনাটির বয়স দুইশ বছরেরও বেশি। আমার বাবা-চাচারা ছয় ভাই ছিলেন। তাদের মধ্যে পাঁচ ভাই মিয়ানমারে কাঠের ব্যবসা করতেন। বাকি একজন দেশে থাকতেন। সেখান থেকে নদীপথে এই সমস্ত কাঠ এনে আমার বাবা এই স্থাপনা নির্মাণ করেন।

স্থাপনা দেখতে আসা আরিফুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এই স্থাপত্যটি আমজাদহাট ইউনিয়নের মধ্যে আছে, তা অনেকের অজানা। এই বাড়িতে প্রাচীন দুটি স্থাপনা খুবই চমৎকার।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহেদ হোসেন বলেন, প্রাচীন স্থাপত্যটি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী হয়ে আছে। বাড়িটিকে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

খেজুরিয়া মমতাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জসিম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের দাবি, এ বাড়িটি ফেনী জেলার প্রাচীন স্থাপত্যগুলোর তালিকার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানুক।

ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মোতালেব বলেন, এ বাড়ির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বাড়িটিকে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করলে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদারদের হাতে বিধ্বস্ত বাড়িটি সম্পর্কে জানবে।