ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ব্যবস্থাপত্রের ছবি রোগীর গোপনীয়তা নষ্ট করে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২  

চিকিৎসকের কক্ষ থেকে বের হলেই ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা ব্যবস্থাপত্রের (প্রেসক্রিপশন) ছবি তুলেন বলে রোগীদের গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মঙ্গলবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সহযোগিতায় অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ প্রশ্ন তোলা হয়। এ সময় উপস্থিত এক চিকিৎসকও জানিয়েছেন যে, তার স্ত্রী এমন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছিলেন। 

হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে হওয়া এ মত বিনিময় সভায় আরো অভিযোগ করা হয়, হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট বেশ সক্রিয়। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে সেবা কাজ ব্যাহত হচ্ছে। জানানো হয় দালাল চক্র সক্রিয় থাকার কথা। এছাড়া অপর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহসহ নানা ধরণের অভিযোগ করা হয় ওই মত বিনিময় সভায়। এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানানো হয়।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সনাক সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সনাক সদস্য মোহাম্মদ আরজু, হাসপাতালের আরএমও মো. ফয়জুর রহমান, আরএমও মো. সুমন ভূইয়া, টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।  

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এখানে সেবার মান অনেক বেড়েছে। প্রতিদিন এ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে প্রায় তিন হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়। 

আগে প্রতিমাসে ১০-১২ লাখ টাকা আয় হলেও গত কয়েকমাস ধরে ২৪ লাখ টাকার নিচে হয় না। দালালসহ অন্যাসন্য অপরাধীদের ঠেকাতে নিয়মিত পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির ৯১ জন কর্মচারির চাহিদা দেওয়া হলে অন্তত ৭১ জন নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে।  

ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলার বিষয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদেরকে সপ্তাহে একদিন এক ঘণ্টার জন্য আসতে নির্দেশনা দেওয়া আছে। ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলতেও নিষেধ করা আছে। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে তাদের সাথে আবার বসে কথা বলা হবে।’