ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনামূল্যে দেড় হাজার পিঠা খাওয়ালেন বিক্রেতা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২২  

পিঠা বিক্রির ২১ বছর পূর্ণ হওয়ায় বিনামূল্যে দেড় হাজার পিঠা খাওয়ালেন পিঠা বিক্রেতা লিটন বেপারী। চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র কালীবাড়ি কোর্টস্টেশন এলাকায় রেললাইনের পাশে ফুটপাতে পিঠা বিক্রি করেন তিনি। বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলে বিনামূল্যে পিঠা খাওয়ার উৎসব।

২০০১ সাল পর্যন্ত শহরের পালবাজারে ১০০ টাকা মজুরিতে কাঁচামালের আড়তে কাজ করেছেন লিটন। ঐ বছর তিনি আড়তের কাজ ছেড়ে পিঠা বিক্রি শুরু করেন। পিঠা বিক্রির ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুধু মুখে দাওয়াত দেননি, রীতিমতো আমন্ত্রণপত্র টানিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন এই পিঠা বিক্রেতা। বিনামূল্যে পিঠা খেয়ে খুশি সবাই। লিটনের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ক্রেতারা।

বিনামূল্যে পিঠা খেয়ে জসিম, মিনহাজ ও রুবেল বলেন, চাঁদপুর শহরে অনেকই পিঠা বিক্রি করেন। কিন্তু এমন আয়োজন কেউ কখনো করেনি। লিটন ভাই প্রতি বছর একবার বিনামূল্যে পিঠা খাওয়ান। তিনি একজন বড় মনের মানুষ। তিনি আমাদের পিঠা খাওয়াতে পেরে খুব খুশি হয়েছেন, আমরাও খুশি হয়েছি।

পিঠা বিক্রেতা লিটন বেপারী বলেন, চাঁদপুর শহরে পিঠা বিক্রির আমার ২১ বছর হয়েছে, তাই আমার ক্রেতাদের বিনামূল্যে পিঠা খাওয়ালাম। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই, আমি আমার কথা রাখতে পেরেছি। বিনামূল্যে পিঠা খাওয়ানো বড় কথা নয়, মানুষ যে ভালোবেসে আমার কাছে আসে সেটাই বড় পাওয়া। পাঁচ চুলায় দেড় হাজার পিঠা তৈরি করে মানুষকে খাওয়ালাম। 

তিনি আরো বলেন, বিনামূল্যে পিঠা খাওয়ার দাওয়াত দিলেও এটা আসলে পিঠাপ্রেমী মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। দুপুর থেকে শুরু হয় এই আয়োজন। কেউ দুইটা, আবার কেউ চারটা পিঠা খেয়েছেন। 

লিটন বলেন, পিঠা বিক্রি করেই চলে আমার সংসার। পিঠা বিক্রির আয় দিয়ে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করেছে আমার তিন মেয়ে। আমি পিঠা বিক্রির পাশাপাশি সবজি বিক্রি, রিকশা চালানোসহ বিভিন্ন কাজ করি। তবে আগেরমত আর পিঠা বিক্রি হয় না। করোনার কারণে এখন দোকানে মানুষ কম আসে। এছাড়া পিঠা বাড়ি নিয়ে যেতেও চায় না মানুষ।