অত্যাচার থেকে বাঁচতে বাবাকে ফোন দিয়েছিলো আনুশকা
নোয়াখালী সমাচার
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২১
‘আমার মেয়ে খুব শান্ত স্বভাবের। স্কুল এবং বাসা ছাড়া তেমন বের হতো না। সে কারো বাসায় এভাবে চলে যাবে এতোটা সাহস তার ছিলো না। দিহান আমার মেয়েকে ট্র্যাপে ফেলে জোর করে বাসায় নিয়েছে। ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু মিশিয়েছিলো। ওদের (দিহান ও তার বন্ধুদের) অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্যই হয়তো সেদিন দুপুরে (১২টা ১৮ মিনিটে) আনুশকা আমাকে কল দিয়েছিলো। ওইদিনের ফোনটা ধরলে হয়তো আমার মেয়ের এমন পরিণতি হতো না; এটাই আমার সবচেয়ে বড় ভুল।’ সোমবার দুপুরের নিজ বাসায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথা গুলো বলছিলেন আনুশকার বাবা আল আমীন আহম্মেদ।
ঘটনার দিনের বর্ণনায় তিনি জানান, হাসপাতালে যাওয়ার পর দিহানের সঙ্গে তার তিন বন্ধু সেখানেই ছিলো, তখন তাদের সবাইকে অস্থির লাগছিলো। এর আগে আনুশকার মোবাইল থেকে আমার স্ত্রীকে ফোন করা হয়। তবে সেটা হাসপাতাল থেকে নাকি ওই বাসা থেকে এটা জানি না। হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা আমাকে বলেন, মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে আনুশকার মা বলেন, যখন ওর (আনুশকা) মুঠোফোন থেকে সেদিন দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে কল করে তখন দিহান ও তার বন্ধুরা একসঙ্গেই ছিলো। হাসপাতালে পৌঁছাতেই আমার পা জড়িয়ে ধরে বলেন আন্টি আমাকে বাঁচান! দুই পরিবারের সম্পর্ক নিয়ে জানতে চাইলে নির্যাতিত কিশোরীর মা বলেন, ঘটনার আগে তিনি দিহান নামের কাউকে চিনতও না। হয়তো এই নামে আনুশকার বন্ধু থাকতে পারে। তবে প্রেমের কোনো সম্পর্ক ছিলো না।
আনুশকার বাসায় সরেজমিনে দেখা যায়, তিন রুমের বাসার পশ্চিম দিকের শেষ ছোট রুমটি নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া মেয়েটির। রুমে ছোট্ট একটা খাট, পড়ার টেবিল আর একটা কাঠের আলমারি। দক্ষিণের জানালাটা অর্ধেক খোলা। বিছানা থেকে একটু নিচেই জায়নামাজ। দুটো কোরআন শরিফ ভাঁজ করা। এখানেই পরিবারের সবাই মিলে নামাজ পড়তো বলে জানান ভিকটিমের বাবা।
আনুশকার মা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে যাওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আমাকে মেয়ের কাছে যেতে দেয়। তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমার মেয়ের নিথর দেহটা পড়ে ছিলো। পুলিশ ময়না তদন্তের পর আনুশকার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই বললেও মেয়ের ছবি দেখিয়ে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ‘পিঠে ও পিঠের নিচে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখেছি’। মামলায় আসামি কেন একজনকে করা হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে আনুশকার মা বলেন, পুলিশ তাকে একজন আসামি করার জন্য পরামর্শ দেয়। বাকি অভিযুক্তদের দোষ প্রমাণ হলে তখন আবার মামলা করা যাবে বলেন তিনি। পুলিশ তাকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন ময়না তদন্তের প্রতিবেদন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আটক রাখবেন।
তিনি আরো বলেন, আমার বাচ্চাকে প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয়েছে। এ নির্যাতন আসলে একজনের পক্ষে করা সম্ভব না। আমাদের মনে হচ্ছে, ঘটনার সঙ্গে চার জন জড়িত ছিলো। আমি আসলে বুঝতে পারিনি মেডিকেল রিপোর্ট কবে আসবে। তখনই তাদের নাম দেয়া উচিত ছিলো। পুলিশ কেন তাদের এত দ্রুত ছেড়ে দিলো? আরো একটু দেখতে পারতো। আর মামলাটাও তাড়াহুড়া করে হয়ে গেলো। চিন্তা করার সুযোগ মেলেনি।
নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, একজনের পক্ষে এভাবে একটা মেয়েকে নির্যাতন করা সম্ভব নয়। এখানে হয়তো অন্যকোন বিষয় জড়িত আছে। মোবাইল উদ্ধার সম্পর্ক জানতে চাইলে ভিকটিমের বাবা বলেন, পুলিশ আনুশকার মোবাইলসহ ৪টি মোবাইল উদ্ধার করেছে। তবে মোবাইল নিয়ে কোন তথ্য তাদের দেননি বলেও তিনি জানান। নির্যাতিতার মা অভিযোগ করে আরো বলেন, তার মেয়ের মোবাইল থেকে ছবি নিয়ে দিহানের ছবির সঙ্গে ফটোশপের মাধ্যমে জোড়া লাগিয়ে সমাজের কাছে তাকে খারাপ প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, পুলিশের কাছে মোবাইল থাকতে কীভাবে এসব ছবি প্রকাশ হচ্ছে?
ভিকটিমের বাবা বলেন, আমার মেয়ের বয়স কীভাবে ১৯ হলো আমরা বুঝলাম না। আমরা তো শুরু থেকেই বয়স ১৭ বলে আসছি। কিন্তু কে বা কারা ১৯ দিলো বুঝতে পারছি না। বিপদে পড়ে আমরা পাসপোর্ট, বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরেছি। পুলিশও যথেষ্ট আন্তরিক ছিলো। তারা ভালো কথাবার্তা বলছেন আমাদের সঙ্গে। সাহায্য করেছেন। তবে কোনো একটা জায়গায় তারা এই ভুলটা করেছেন। যার জন্য এটা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। ভুল তথ্য দিয়ে মেয়েটাকে প্রাপ্ত বয়স্ক বানানোর চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দিহানের পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। দিহানের বড় ভাইও নাকি তার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছিলো। আমার মেয়ের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে; আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। তাদের শাস্তি চাই। এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিমের একজন বন্ধু নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আনুশকা এবং আমি খুব ছোটবেলা থেকেই ফ্রেন্ড (বন্ধু)। ঘটনার আগেরদিন তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছিলো। দিহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে তিনি বলেন, আনুশকা জানিয়েছিলো এক মাস ধরে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়। প্রেমের সম্পর্ক ওইভাবে ছিলো না। তবে ঘটনার আগে দেখা হয়েছে কিনা সে জানে না বলে জানান। আনুশকার বাবার দাবি, সন্তানকে সে অনেক যত্ন করে বড় করেছেন। এই মামলার সত্যি প্রতিবেদন যাই আসুক সে মেনে নিবে। তবে কোন অসঙ্গতি হলে তিনি সেই রায় মেনে নেবে না।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমণ্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিন। এরপর আনুশকাকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। ফাঁকা বাসায় জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্কের একপর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমণ্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা।
গত ৭ জানুয়ারি দিনগত রাতে নিহত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯-এর ২ ধারায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়। মামলার একমাত্র আসামিকে সেদিন রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সে অনুযায়ী আসামি দিহান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে একই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
- দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না
- এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল
- এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি
- এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী
- সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ
- পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
- বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে
- নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী
- দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ
- দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
- বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার
- দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ
- বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- মুহুরী নদীতে গোসলে নেমে নৌবাহিনী সদস্যের মৃত্যু
- পাটাতন-রেলিং ভাঙা, জরাজীর্ণ ব্রিজই ভরসা
- নোয়াখালীতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য গ্রেফতার
- নোয়াখালীতে সন্ধান পাওয়া নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- নোয়াখালীতে ধান কাটার মেশিনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
- ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া
- মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর
- দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি
- ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত
- ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে
- চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস
- ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
- আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে
- আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
- পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
- নোয়াখালীতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য গ্রেফতার
- মুহুরী নদীতে গোসলে নেমে নৌবাহিনী সদস্যের মৃত্যু
- দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ
- ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া
- নোয়াখালীতে ধান কাটার মেশিনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- নোয়াখালীতে সন্ধান পাওয়া নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির
- শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
- বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার
- পাটাতন-রেলিং ভাঙা, জরাজীর্ণ ব্রিজই ভরসা
- দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ
- নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী
- বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে
- এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী
- সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ
- এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি