ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সেনাবাহিনী-বিজিবির চেষ্টায় বান্দরবানের সঙ্গে যোগাযোগ স্বাভাবিক

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০১৯  

টানা বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে পড়ে গত ৯ জুলাই থেকে বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অক্লান্ত এবং নিরলস প্রচেষ্টায় বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।
এর আগে, চারদিনের টানা বৃষ্টিতে গত ৯ জুলাই সকালে পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়ক প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া বান্দরবানজুড়ে শতাধিক পাহাড় ধসে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। দুপাশে আটকা পড়ে ছোট বড় যানবাহন। চরম দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় ও পর্যটকরা।

সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নসহ বিদ্যুৎ ও টেলিফোন ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ে। টানা কয়েকদিন বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল টাওয়ারগুলোও বিকল হয়ে সীমাহীন দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। 

টানা আট দিন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্স ও বিজিবির সদস্যগন নিরলস-অক্লান্ত-কঠোর পরিশ্রম, বৈরি ও প্রতিকূল পরিবেশে অসীম ধৈর্যের সঙ্গে কাজ করে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সব ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করে। 

এদিকে, ওই টানা ভারী বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। এ সময়ে বন্যার্ত মানুষদেরকে ঝুঁকি নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা, নিয়মিত শুকনা খাবার সরবরাহ করা সহ সব ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতিকেও সামাল দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি। 

উল্লেখ্য, সেই ১৯৭১ সাল থেকে দেশমাতৃকার ডাকে সবসময় সাড়া দিয়ে এসেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশের অভ্যন্তরে যে কোনো প্রয়োজনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে অর্পিত দায়িত্ব। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, পাহাড় ধস ইত্যাদি বড় বড় দুর্যোগে পর্যাপ্ত সেবা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক প্রয়াস চোখে পড়ার মতো। আবার দেশের বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়োগ করেছে সর্বশক্তি। দক্ষতার চূড়ান্ত প্রমাণ রেখেছে।