ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর গ্রহাণু

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২০  

২৯ এপ্রিল একেবারে পৃথিবীর কক্ষপথের কাছ থেকে প্রবাহিত হয়ে যাবে গ্রহাণুটি

২৯ এপ্রিল একেবারে পৃথিবীর কক্ষপথের কাছ থেকে প্রবাহিত হয়ে যাবে গ্রহাণুটি

বিশাল এক গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। করোনাভাইরাসের মাঝে ‘ভয়ঙ্কর’ এই গ্রহাণুর খবর নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। ২৯ এপ্রিল একেবারে পৃথিবীর কক্ষপথের কাছ থেকে প্রবাহিত হয়ে যাবে এটি। এ গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর ধাক্কা লাগলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এমনকি সুনামি, ভূমিকম্প ও প্রবল ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে নাসা।

অনেকদিন ধরেই গ্রহাণুটির ওপর নজর রাখছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তারা এর নাম দিয়েছেন ‘অ্যাস্ট্রয়েড ৫২৭৬৮’। নাসা জানিয়েছে, ২৯ এপ্রিল এই বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীর ৬৩ লাখ মিলিয়ন কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসবে, যা পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের প্রায় ১৬ গুণ। আর নাসার এই ঘোষণার পরই বিশ্বজুড়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে এক ধরণের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গ্রহানুটি যদি পৃথিবীর এত দূর দিয়ে চলে যায়, তাহলে ভয় কীসের? সেটা বুঝতে ৬.৬ কোটি বছর পেছনের অধ্যায় উল্টোতে হবে। ওই সময় মেক্সিকোর উত্তরে একটি বিশালাকায় গ্রহাণু এসে পড়েছিল। তাতেই বিশাল সংখ্যক ডাইনোসরের মৃত্যু হয়েছিল। আর যে ধুলোর ঝড় উঠেছিল, তাতে ঢেকে গিয়েছিল পুরো পৃথিবী। যার ফলে পরের দশ বছর প্রায় পৃথিবীতে সূর্যালোক সেভাবে পৌঁছায়নি।

 

‘অ্যাস্ট্রয়েড ৫২৭৬৮’

‘অ্যাস্ট্রয়েড ৫২৭৬৮’

নাসা ছাড়াও ইউরোপিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থাও (ইসা) এই গ্রহাণুটিকে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখছেন। আর তাদের মতে, এই গ্রহাণু থেকে পৃথিবীর কোনো ধরনের ক্ষতিসাধন হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। তাহলে এই গ্রহাণুকে সম্ভাব্য ক্ষতিকর বলা হচ্ছে কেন? এ সম্পর্কে নাসা বলছে, শেষ মুহূর্তে যদি কোনো কারণে এর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায়, সেজন্যই সম্ভাব্য ক্ষতিকর বলা হচ্ছে। এই সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

আনুমানিক ১.১ থেকে ২.৫ মাইল ব্যাস বিশিষ্ট এই গ্রহাণুটি ঘণ্টায় ২০ হাজার মাইল বেগে পৃথিবীর কক্ষপথের কাছ দিয়ে ধেয়ে যাবে। যার প্রভাবে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে একটি পরিবর্তন আসতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের অনেকেই মনে করছেন। একই সঙ্গে পৃথিবীর কিছু জায়গা সাময়িক সময়ের জন্য সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হতে পারে বলে মনে করছেন কয়েকজন বিজ্ঞানী।