ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফেসবুক নিয়ন্ত্রণে বিশেষ প্যানেল তৈরির সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ফেসবুকের ত্রুটি বিচ্যুতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার দায়িত্ব বিশেষ একটি প্যানেল দিতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। ওই প্যানেলের হাতে ফেসবুক পরিচালনা পর্ষদের ভুল সিদ্ধান্ত শোধরানোর ক্ষমতা থাকবে। এ প্যানেল স্বাধীনভাবে কাজ করবে। সম্প্রতি এমনই একটি প্যানেল তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি অনলাইন।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে ফেসবুকের বিশেষ এ প্যানেল প্রথম শুনানি করবে। বিতর্কিত উপাদান ও নতুন নীতিতে প্রভাব–সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা থাকবে এ প্যানেলের কাছে। এ ধারণাটিকে ‘ফেসবুকের সুপ্রিম কোর্ট’ বা ফেসবুকে সর্বোচ্চ আদালত বলা হচ্ছে। বিশ্বের ৪০ জন সদস্যকে নিয়ে এ প্যানেল তৈরি করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে এর সদস্য সংখ্যা কম থাকবে।

ফেসবুকের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে ফেসবুকের উদ্দেশ্য ও প্যানেলের সদস্যদের স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো বার্নি হোগান বলেন, ফেসবুকের কোনো আদালত নেই, সেখানে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার বা মার্ক জাকারবার্গের ভোট প্রাধান্য পায়। ফেসবুকের সর্বোচ্চ আদালত নাগরিকদের কোনো দায়িত্ব ছাড়াই প্রকৃত বিচারিক অনুশীলনের সব আড়ম্বরপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুরুতে ১১ জনের মতো খণ্ডকালীন সদস্য নিয়ে প্যানেল তৈরি করা হবে। প্যানেলের সদস্যদের নাম ও তাদের সব বক্তব্য প্রকাশ্যে জানানো হবে। ওই প্যানেলের সদস্যরা ফেসবুকের তৈরি বিশেষ ট্রাস্টের মাধ্যমে বেতন পাবেন।

ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেন, প্রতিদিন আমাদের নীতিমালা প্রয়োগ করার পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে লাখ লাখ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। তবে আমি মনে করি না, আমাদের মতো প্রাইভেট কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারে।ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের তৈরি প্যানেলের মূল কাজ হবে ফেসবুকের কনটেন্ট সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা। প্রয়োজন পড়লে ফেসবুকের সিদ্ধান্ত বদলে দেয়া। ফেসবুকের বাইরে স্বাধীন কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকের হাতে যে বিশাল ক্ষমতা এসেছে তার কিছুটা ভারসাম্য রক্ষা করতেই এ পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। এ ছাড়া ক্ষমতার সঙ্গে ফেসবুকের ওপর বিভিন্ন দেশে নিয়ন্ত্রণের যে বিষয়গুলো উঠে আসছে তা থেকে মুক্তি পেতেও এ ধরনের পদক্ষেপের দিকে হাঁটতে পারে তারা।হোগান বলেন, কোনো কিছু করার উদ্যোগ থেকেই ফেসবুকের প্যানেল সৃষ্টি, তবে তা কতটুকু পার্থক্য গড়বে সেটাই দেখার বিষয়।