ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পৃথিবীর সুন্দরতম নীল মসজিদ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০১৯  

সুলতান আহমেদ মসজিদ ইস্তানবুলের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ যেটি ব্লু মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটির ভেতরের দেয়াল নীল রং এর টাইলস দিয়ে সুসজ্জিত বলে এই মসজিদটি ব্লু মস্ক বা নীল মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটি ১৬০৯ থেকে ১৬১৬ সালের মধ্যে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান আহমেদ বখতি নির্মাণ করেন।
মসজিদের মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা ১০ হাজার। দৈর্ঘ্য ২৪০ ফুট, প্রস্থ ২১৩ ফুট, প্রধান গম্বুজের উচ্চতা ১৪১ ফুট। মিনারের উচ্চতা ২১০ ফুট।

এ ছাড়া দিনের বেলায় শত শত রঙিন কাচের জানালা আর রাতে মসজিদের প্রধান পাঁচটি গম্বুজসহ মোট ১৩টি গম্বুজ ও ছয়টি মিনার থেকে নীল আলোর বিচ্ছুরণে তৈরি হয় মোহময় পরিবেশ।
 
১৬০৯ থেকে ১৬১৬ সালের মধ্যে প্রথম আহমেদের শাসনামলে মসজিদটির নির্মাণ হয়। ৪০০ বছর পরও তুরস্কের ব্লু  মসজিদ আজো পৃথিবীর সুন্দর মসজিদের স্থানে গৌরবের সঙ্গে দাড়িঁয়ে আছে। 

মসজিদটির ঐহিহাসিক গুরুত্ব, ধাপে ধাপে (কাসকেডিং) সাজানো গম্বুজ, ছয়টি মিনার, বিশাল সাহান, উচ্চ মূল্যবান সিলিং, অনেক দূর থেকেও দৃশ্যমান হওয়া, গাছাগাছালি ঘেরা এর চারপাশের বিশাল খোলামেলা পরিবেশ, পার্র্ক সাজানো সড়ক, বাড়িঘর, নীল জলাধাররের ফোয়ারা, মসজিদের অভ্যন্তরীণ হাতের কাজ সব মিলিয়ে ইংরেজিতে প্লেস অব ম্যাজিক অ্যান্ড ওয়ান্ডার হিসেবে পরিচিত এ মসজিদ। 

বাইজানটাইন শাসকদের প্রাসাদের পাশে হাজিয়া সোফিয়া মসজিদের সামনে অবস্থিত ব্লু  মসজিদ। এক সময় এলাকাটি বাইজানটাইন শাসকদের রাজপ্রাসাদ ছিল। 
 
দেয়াল, গম্বুজ, সিলিং, খুঁটির বাহারি কারুকাজ, মোহনীয় রঙের ব্যবহার, মসজিদের বিশালত্ব, পুরনো দিনের বিশালকায় দেয়াল, সাহানের মাঝে ঝর্ণা, রঙিন কাচের ২০০ জানালা, মসজিদের উপরিভাগে হাতে করা কারুকাজের ২০ হাজার সিরামিক টাইলস, কুরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি, স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য, প্রভৃতি যেমন এ মসজিদের সৌন্দর্যের উৎস তেমনি একে বিশেষত্ব দান করেছে এর বাইরের পরিবেশ। মারমারা সাগরের নীল জলরাশির পাশে এর অবস্থানও মসজিদটির ব্লু  বা নীল নামের সার্থকতা বহন করছে। 

দীর্ঘকাল ধরে তুরস্কের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এ মসজিদ। মুসলমান ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের হাজার হাজার লোকজন প্রতিদিন এ মসজিদ দেখতে আসেন। তুরস্কে সফরে গিয়ে এ মসজিদ না দেখে ফিরেছেন এমন লোক সম্ভবত খুব কম।