ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রচণ্ড শীতে কাজে যেতে পারছে না নিম্ন আয়ের মানুষ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০১৯  

শীতে কাঁপছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম। গেল তিন দিন ধরে নিচের দিকে নামছে তাপমাত্রা।

বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আট দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। গেল সোমবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নয় দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল মঙ্গলবার তা নেমে দাঁড়ায় আট দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজও (বুধবার) বিদ্যমান রয়েছে।

গেল সপ্তাহে কুয়াশা না থাকলেও এখন ঘন হচ্ছে কুয়াশার চাদর। কুয়াশা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বইছে হিম বাতাস। ফলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে এ জেলায়। বিকেল থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে তীব্র ঠাণ্ডা।

এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। 

এখন হরহামেশা চোখে পড়ছে গ্রামাঞ্চলে ছিন্নমূল মানুষের খরকুটু জ্বালিয়ে নিজেদের শীত নিবারণের দৃশ্য।

শীতের কারণে কমে গেছে খেটে খাওয়া মানুষের কাজ। সময়মতো তারা কাজে যোগ দিতে পারছে না। সোনাহাট স্থলবন্দরের পাথর ভাঙা শ্রমিক বাবু, খয়বর, সাইফুল, নিরঞ্জন আরটিভি অনলাইনকে জানান, সকালে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং কুয়াশা থাকায় তারা সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না। প্রতিদিন আটটায় কাজে যাওয়ার কথা থাকলেও এখন নয়টায় যোগ দিতে হচ্ছে। ফলে আয় কমে গেছে তাদের।

কেদার ইউনিয়নের দিনমজুর আহম্মদ আলী জানান, শীতের কারণে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। রাতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন।

শীতের কারণে কাজ না থাকায় বেকার সময় পার করছেন কৃষি শ্রমিকরা। দুধকুমর নদীর চরাঞ্চল শৌলমারী গ্রামের বাসিন্দা মালেক মিয়া জানান, শীতের কারণে তাদের খুব কষ্ট বেড়ে গেছে। পাশাপাশি গবাদি পশু নিয়েও বিপদে আছেন তারা।

ভূরুঙ্গামারীর কৃষক রাজু আহম্মেদ জানান, শীতের কারণে আগাম জাতের ইরি-বোরো চাষ ব্যাহত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক জাকির হোসেন জানান, আগামী সপ্তাহের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।

এদিকে শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণে প্রায় ৪২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। আরও শীত বস্ত্রের চাহিদা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন।