ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মুহুরী ও কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ৫ গ্রামে আকস্মিক বন্যা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২০  

 ফুলগাজী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে মুহুরি নদী ও কহুয়া নদীর বেড়ি বাঁধের দুটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 
এদিকে রোববার  বিকেলে ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান ভাঙনের স্হান পরিদর্শন করেন। এসময় ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল আলিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.সাইফুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অজিত চন্দ্র দেব নাথ ও ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২শ বিশ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। 
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে পাহাড়ি ঢল ও ভারতের ত্রিপুরা থেকে আসা পানি মহুরি ও কহুয়া নদীর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে। এ সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর মোহাম্মদ উল্লাহর বাড়ি সংলগ্ন মুহুরি নদীর বেড়িবাঁধে ও দক্ষিণ দৌলতপুরে কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, বৈরাগপুর ও বরইয়া গ্রামে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। 
বন্যায় উঠতি আমন ধান ও সবজির বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিছু বাড়িঘরেও পানি ঢুকে গেছে। তলিয়ে গেছে পুকুর ও গ্রামীণ সড়ক। খবর পেয়ে ফেনী থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙনের স্থান পরিদর্শন করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের  উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুর নবী জানায়, রোববার সকালে মুহুরি ও কহুয়া নদীর পানি বিপৎসীমার প্রায় দুই ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম জানায়, আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় ওই পাঁচ গ্রামের ১০৫ হেক্টর উঠতি রোপা আমন ধানের ক্ষেত এবং ৬ হেক্টর সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। 
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। তবে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি রোববার রাতে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।