দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে তারেকের পরামর্শ নিতে লন্ডনে শর্মিলা

সাড়ে তিন মাসের বেশি ঢাকায় অবস্থানের পর দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে তারেক রহমানের পরামর্শ নিতে লন্ডনে ফিরে গেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।

শর্মিলা রহমান সিঁথির লন্ডনে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও বড় মেয়ে জাহিয়া রহমান আলাদাভাবে লন্ডনে পৌঁছেছেন।

এ দিকে খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থাতেই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলাকে নানা বিষয়ে তারেক রহমান বলেন দেশকে অস্থিতিশীল করতে। সেই অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত নিয়ে লন্ডনে গেছেন তিনি।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার দেখাশোনার নামে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডার নথি নিয়ে লন্ডনে গেছেন সিঁথি। সেখানে বসেই তিনি ছাত্র আন্দোলনসহ দলের নীতি নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দেশের বাইরে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে।

লন্ডনভিত্তিক একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এরই মধ্যে এ বিষয়ে শর্মিলার সঙ্গে কথা হয়েছে তারেক রহমানের। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেইড এজেন্ট দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেদের রাজত্ব কায়েম করার প্রয়াস চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন নীতিনির্ধারক বলেন, এটি নিতান্তই তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে বিষয়টি অস্বস্তির, এর প্রভাব দলীয় রাজনীতিতে পড়বে।

তিনি আরো বলেন, অসুস্থ খালেদা জিয়া আর রাজনীতি করতে পারবেন না- এটা নিশ্চিত এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরা সম্ভব নয়। তাই তাদের দু’জনকে মাইনাস করে দলের একটি অংশ শর্মিলা রহমান সিঁথিকে ব্যবহার করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের একটা প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। সিঁথির এবারের লন্ডন যাত্রা এরই অংশ হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, দেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তারা এখন অনেক সচেতন। বিএনপির এসব পুরোনো কৌশল সম্পর্কে মানুষ এখন জ্ঞাত। তারা যতই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করুক, দেশের মানুষ তা রুখে দেবে। ক্ষমতায় আসার জন্য বিদেশিদের কাছে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেওয়া বিএনপি-জামায়াতকে দেশের জনগণ আর মেনে নেবে না।