ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

গুরুতর অভিযোগে শোকজ দিয়েও নেতাদের প্রতি নমনীয় বিএনপি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২১  

বিভিন্ন মহলে একটি কথা প্রচলিত যে, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় বিএনপির দলীয় চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে। আর এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে দলীয় প্রধানের অসুস্থতা, দ্বিতীয় প্রধান হিসেবে তারেক রহমানের বিদেশে থেকে একটি অংশকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কমিটি দেওয়া এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে টাকা কিংবা বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে মনোনয়ন দেওয়া প্রমুখ।

এদিকে দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে নানা কটু বক্তব্য ও চেইন অব কমান্ড ভেঙে নিজের মতো করে মাঠ গরম করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বিএনপির শীর্ষ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে। আর ‘শোকজ খাওয়া’ এসব নেতাদের নিয়ে বিএনপির নমনীয় আচরণের ফলে এবার তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বত্র শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

এদের মধ্যে মির্জা আব্বাস, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ ও শওকত মাহমুদের ব্যাপারে বিএনপি অনেকটাই নমনীয়। তাদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়নি। 

এখন বিএনপির দলীয় ফোরামে একটা কথা উঠছে যে, এ নেতারা কি এতোটাই ক্ষমতাশালী, নাকি বিএনপির চেইন অব কমান্ড দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোনো ক্ষমতা নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেন, তারা যে ধরনের কার্যক্রম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিলো, যাতে করে অন্য কেউ এ ধরনের কাজ করতে না পারে। কিন্তু তা না করে তাদের বিষয়ে দলের নমনীয় অবস্থান তৃণমূল কর্মীদের হতাশ করেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মির্জা আব্বাস বিএনপির একটি খুঁটি। তিনি দলের একজন বড় ডোনারও। তাই শত অন্যায় করলেও বিএনপি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না।

বিএনপির সাংবাদিক নেতৃত্ব হিসেবে পরিচিত শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে গণমাধ্যমে বিএনপির মিডিয়া কাভারেজ একেবারেই কমে যাবে। 

অন্যদিকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না, কারণ বিএনপিতে তার গুরুত্ব অন্যরকম। তাকে বাদ দিলে দলের লবিংয়ে বিশাল সমস্যা হবে।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শীর্ষ দুই নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। তারা চিন্তাপ্রসূত কোনো সিদ্ধান্তই নিতে পারছেন না। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে লেজেগোবরে বিএনপি দিন দিন আরো খারাপ পরিস্থিতির দিকেই ধাবিত হচ্ছে।