ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

উন্নয়ন নাকি সন্ত্রাসবাদ?

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮  

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের এক অপরূপ লীলাভূমি বাংলাদেশ। দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন বাংলাদেশকে দিয়েছে অপরূপ মহিমা। বাংলাদেশ আজ এক অর্থনৈতিক চমকের দেশ। বিপুল জনগোষ্ঠী নিয়েও দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিজেকে উদীয়মান বাঘ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তুলেছে।

নির্মাণাধীন মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও উৎক্ষেপিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চলমান উন্নয়নের প্রমাণ দেয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এদেশে সকল ধর্মের নাগরিকেরা সমান অধিকার ভোগ করেন। মুসলিম প্রধান বাংলাদেশের নাগরিকগণ অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি যথেষ্ঠ সহমর্মিতা লালন করেন। এ আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য।

আল কায়দা নামক একটি জঙ্গি সংগঠন আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলা করে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় চলে আসে। আল কায়দার অনুসরণে উদ্ভব হয় ‘আইএস’ নামক নতুন এক জঙ্গী সংগঠনের। চরম উগ্রপন্থী এ সংগঠনটি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কার্যক্রম চালাতে থাকে।

এদিকে আফগানিস্থানকে ধ্বংস করার পরে, আল কায়দা পাকিস্তানের সহায়তায় ভারতীয় উপমাহাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। ভারতের মুম্বাইতে তারা চালায় ভয়াবহ এক হামলা।

ঠিক এ সময়েই বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় এক নতুন হুমকির। হরকাতুল জিহাদ-উল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি) মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো হুজি’র ব্যানারে বাংলাদেশে একের পর এক আক্রমণ চালায়। ১০০ নিরীহ মানুষকে মেরে ও অসংখ্য বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে হুজি তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়।

ধর্মের নামে ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত একের পর এক হামলা প্রত্যক্ষ করে বাংলাদেশ। বিএনপি-জামায়াতের সরাসরি সহায়তায় জঙ্গি গোষ্ঠীটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস ও এর নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যায় তৎপর হয়। এ লক্ষ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তারা আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ বোমা হামলা চালায়।

শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) আরেক নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দেয় বাংলাদেশের জন্য। বাংলাভাই ও তার অনুসারীদের সিরিজ বোমা হামলা ও নির্যাতনের চিত্র বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও আইনের শাসনকে করে প্রশ্নের সম্মুখীন।

পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেই সন্ত্রাসবাদকে ‘না’ বলে। জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট থাকা দলটি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঘোষণা করে যুদ্ধ।

তবে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রদানের স্বভাব অপরিবর্তিত রাখে। ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের ব্যানারে ন্যাক্কারজনক বোমা হামলা ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা প্রত্যক্ষ করে বিশ্ববাসী। বিএনপি-জামায়াতের আগুনে পুড়ে মারা যান ৪৯৬ জন মানুষ, আহত হন অসংখ্য।

২০১৬ সালে বাংলাদেশ আবারও প্রত্যক্ষ করে ধর্মের মোড়কে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদ। অস্ত্রধারী কিছু সন্ত্রাসী এবছর আক্রমণ চালায় ঢাকার হলি আর্টিজেনে।
আশকোনা হামলা ও সিলেটের আতিয়া মহলে হামলাও হতে পারে উগ্রবাদের বড় উদাহরণ।

উগ্র সন্ত্রাসবাদীরা ব্লগার ও বিদেশী নাগরিকদের হত্যার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে থাকে। এ পরিস্থিতিতেই চলতে থাকে মানবতাবিরোধীদের বিচারকাজ।

সন্ত্রাসবাদ দমন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সরকারের সহযোগিতা ও ধারাবাহিক চেষ্টায় সন্ত্রাসবাদের উত্থান শূণ্যের কোঠায় চলে এসেছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযানে বাংলাদেশে ফিরে এসেছে শান্তি।

একটি দেশের অব্যাহত উন্নয়নের সুফল জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিতে এ স্থিতিশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াতের ছায়াতলে ও আন্তর্জাতিক আশ্রয়ে সন্ত্রাসবাদ আজও মদদ পাচ্ছে।তাই, প্রশ্ন একটিই। কাকে বেছে নেবে বাংলাদেশ? উন্নয়ন নাকি সন্ত্রাসবাদ?