ব্রেকিং:
পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র সুবর্ণচরে এক বুথে ঘণ্টায় পড়ল ১ ভোট ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ইউনিয়নে উন্নয়ন বন্ধ করার হুমকি এমপিপত্নীর নোয়াখালীতে ভোটের আগের রাতে টাকা বিতরণের অভিযোগ আওয়ামী লীগে স্বজনদের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের
  • শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অনলাইনে মোমো বিক্রি করে কলেজছাত্রী সালমার বছরে আয় ২ লাখ টাকা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২৩  

ছোটবেলা থেকে সালমার স্বপ্ন ছিল স্বাবলম্বী হওয়ার। স্বপ্ন দেখেন নিজে কিছু করার। নিজে কাজ করে আয় করবেন। কিন্তু কী করবেন, কোথা থেকে শুরু করবেন, কিছুই বুঝতে পারেন না। ২০২২ সালে শখের বসে অনলাইন পেইজ খুলে মোমো বিক্রি শুরু করেন কলেজ পড়ুয়া উম্মে সালমা আজিজী সিফাত। এরপর মাত্র এক বছরে ২ লাখ টাকার মোমো বিক্রি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। অনলাইনে তিনি পরিচিত হয়েছেন সেরা মোমো বিক্রেতা হিসেবে। 

উম্মে সালমা আজিজী সিফাত নোয়াখালী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী কলেজ রোডের বাসিন্দা এমদাদ উল্ল্যাহ আজিজীর মেয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের শুরুতে ঘরে বসে স্বাস্থ্যসম্মত ও মজাদার মোমো তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করবেন বলে ঠিক করেন উম্মে সালমা আজিজী সিফাত। ফেসবুকে শুরু করেন প্রচারের কাজ। অনলাইন ব্যবসার নাম দেন ‘ডাম্পলিং কিচেন’। প্রথমদিকে খাবারটি নোয়াখালীতে অপরিচিত হলেও আস্তে আস্তে পরিচিত হয়ে ওঠেন। চিকেন মোমো, চিলি ওয়েল মোমো, চিলি গারলিক মোমো, নাগা মোমো, ক্রিস্পি ফ্রাই মোমো, ফ্রাইড মোমো, সেচুয়ান মোমো, ডাম্পলিং সুপ ক্লিয়ার, থাই সুপ মোমো ও সবজি মোমো এই আট রকম মোমো দিয়ে যাত্রা শুরু হয় সালমার। এক বছরে এই মোমো বিক্রি করে ২ লাখ টাকা আয় করেন সালমা।

dhakapost

উম্মে সালমা আজিজী সিফাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, শখের বশে মোমো বানিয়ে আমার মাকে দেখালাম। মা বললো এসব খাবার মানুষ খাবে না। নোয়াখালীর মানুষ এসবে পরিচিত না। আমি মাকে বললাম খাবার স্বাদ হলে সবারই ভালো লাগবে এবং সেল হবে। তারপর থেকে মায়ের সহযোগিতা নিয়ে ডাম্পলিং কিচেন শুরু করি। গত এক বছরে আমি দুই লাখ টাকার মোমো বিক্রি করেছি। নিজের হাতখরচ থেকে শুরু করে নিজের অনেক শখ পূরণ হচ্ছে আমার আয় থেকে।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা আমার জন্য সব থেকে ভালো বাজার করে দেন। আমি আমার মায়ের সহযোগিতা নিয়ে হালালভাবে ব্যবসাটা করছি। আমি কখনো অধিক লাভের কথা চিন্তা করি না। আমার মাথায় থাকে স্বল্প লাভের কথা। আমার প্রচুর রিপিট কাস্টমার আছেন। সব কিছু মিলিয়ে ব্যবসাটা ভালো যাচ্ছে। সামনে বড় কিছু করার পরিকল্পনা আছে। আমি মনে করি সব উদ্যোক্তাদের উচিত নিজে যে কাজে দক্ষ সেই কাজটা করা। ভালো লাগার কাজটাই ভালোবাসা দিয়ে করা যায় বলেই কাজটা নিখুঁত হয়। আর নিখুঁত কাজই হলো সফলতার চাবিকাঠি।

ডাম্পলিং কিচেনের মোমোর নিয়মিত ক্রেতা চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী ইফতি। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগে নোয়াখালীর মানুষ মোমো সম্পর্কে তেমন পরিচিত ছিল না। ডাম্পলিং কিচেনের মাধ্যমে সবাই চিনেছে। উম্মে সালমা আজিজীর প্রতিটি খাবারের মান ভালো। আমি তার থেকে সব সময় খাবার ক্রয় করি। ডাম্পলিং কিচেনের মোমো বর্তমানে নোয়াখালীতে সব থেকে বিখ্যাত।

dhakapost

শিরিন আক্তার নামের আরেক ক্রেতা ঢাকা পোস্টকে বলেন,ডাম্পলিং কিচেনের মোমো একবার খেলে বারবার খেতে মন চায়। এখানের নাস্তাগুলোও অনেক ভালো হয়। স্বাদ অসাধারণ হয় বলেই আমরা নিয়মিত কাস্টমার। 

সালমার ছোট ভাই হামিদ আজিজী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি যখন ফ্রী থাকি তখন আপুর খাবারগুলো ডেলিভারি দিয়ে আসি। দেখা যায় যারা একবার অর্ডার করেছে তারাই বারবার অর্ডার করছে। এতে ধারণা করা যায় খাবারগুলো মানুষের পছন্দ হচ্ছে।

নোয়াখালী নারী অধিকার জোটের আহ্বায়ক লায়লা পারভিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে নারীরা ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন। এটি খুবই ভালো দিক। এভাবেই নারীরা আরও এগিয়ে আসুক।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর নোয়াখালীর উপ-পরিচালক কামরুন নাহার ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন গ্রাম হবে শহর। শুধু শহরের নয়, গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাক স্মার্ট বাংলাদেশের সুবিধা। উম্মে সালমা আজিজী সিফাতের মতো নারীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে ব্যবসা করছেন, সেটাই আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবিক উদাহরণ।