ব্রেকিং:
নভেম্বরে আসছে জাতীয় ডেবিট কার্ড গণমাধ্যমে মার্কিন ভিসা নীতি: নিন্দা জানালেন ১৯০ বিশিষ্ট নাগরিক সেপ্টেম্বরে রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশ এবার শুরু হচ্ছে পাতালরেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার পাচ্ছে ১২ শিল্পপ্রতিষ্ঠান শিশুদের মনে বড় হওয়ার স্বপ্ন জাগাতে সরকার বদ্ধপরিকর-প্রধানমন্ত্রী যাত্রীবেশে গাঁজা পাচার, আটক ১ চান্দিনায় বন্ধুর হাতে যুবক খুন নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ল ৬ বসতঘর ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে : ভারতীয় হাইকমিশনার অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য চালককে হত্যা, গ্রেফতার ৫ সরু ও জরাজীর্ণ গোমতী নদীর বেইলি ব্রিজে নিত্য যানজট নৌকা চালিয়ে বাড়তি আয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দৌড় প্রতিযোগিতায় সব বয়সী মানুষের ঢল জমি নিয়ে বিরোধ, ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ভাই নিহত পরকীয়া দেখে ফেলায় মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করেন মা ও তার প্রেমিক জলদস্যুদের গুলিতে আহত আরেক জেলের মৃত্যু ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দাউদকান্দিতে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই ডাকাত গ্রেফতার নৌকা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক, নৌকায় ভোট দিন : রাজী ফখরুল
  • মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ ||

  • আশ্বিন ১৭ ১৪৩০

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

অসুস্থ পথচারীকে উদ্ধারের পর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন কাদের মির্জা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

প্রচণ্ড শারীরিক দুর্বলতা ও অসুস্থতা নিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বড় মসজিদের পাশে পড়েছিলেন এক পথচারী। বাজার পরিদর্শনে বের হয়ে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ওই পথচারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান তিনি এবং চিকিৎসার সব দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

জানা যায়, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের মো. মামুন (২৬) কাজের সন্ধানে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আসেন। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে অজ্ঞান হয়ে বসুরহাট বড় মসজিদের সামনে পড়ে ছিলেন তিনি। বাজার পরিদর্শনে বের হয়ে বেলা ১১টার দিকে ওই পথচারীকে দেখতে পেয়ে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করেন কাদের মির্জা।

কাদের মির্জা ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিদিনের মতো আজও সকালে বসুরহাট বাজার পরিদর্শনে বের হই। বড় মসজিদ সংলগ্ন আল্লাহর-৯৯ নাম মিনারের পাশে একটি অপরিচিত লোক প্রায় মৃত্যুশয্যায় পড়ে থাকতে দেখি। তৎক্ষণাৎ কালক্ষেপণ না করেই তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিই। ডাক্তার বলেছে তার শরীরে রক্তের পয়েন্ট ৩.৫। জরুরি বি নেগেটিভ রক্তের প্রয়োজন। আমি অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুই ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি, সে ভোর থেকেই প্রায় মৃত্যুশয্যায় পড়েছিল কিন্তু একটি মানুষও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। উল্টো তার সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়ে গেছে। মানুষ মানুষের জন্য কিন্তু বর্তমানে মানুষের মানবিকতার এমন অবক্ষয়ে আমরা সত্যিই হতাশ। আমি তার সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি তিনি সুস্থ হলে নিজ গ্রামে ফেরত যাবেন। যদি কেউ তার পরিবারের সন্ধান জানেন তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেয়র মহোদয় নিজে ওই পথচারীকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। আমরা তাকে স্যালাইন দিয়েছি এবং কিছু পরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেলে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে ওই পথচারী এখন শঙ্কামুক্ত আছেন। আমরা তাকে পর্যবেক্ষণ করছি।