ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শ্রেণিকক্ষে একা পেয়ে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, শিক্ষক বরখাস্ত

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৩  

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শ্রেণিকক্ষে একা পেয়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মো. ওমর ফারক (৪৫) নামে এক সহকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (২১ আগস্ট) নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগমের সই করা চিঠিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সুবর্ণচর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু জাহের চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বহিষ্কৃত মো. ওমর ফারুক মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর আক্রাম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং ওই ইউনিয়নের আক্তার মিয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা। নির্যাতিত শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ১২ (১) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। এ সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা পাবেন। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার সময় সহকারী শিক্ষক মো. ওমর ফারুক একা পেয়ে তৃতীয় শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে জড়িয়ে ধরেন। এ সময় তার স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানিসহ ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে শিক্ষার্থী চিৎকার দিলে তাকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত বিদ্যালয় ত্যাগ করেন শিক্ষক মো. ওমর ফারুক।

বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রী তার মাকে ঘটনাটি জানালে তিনি বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আলমসহ অন্যান্য শিক্ষকদের জানিয়ে ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।

ছাত্রীর বাবা জানান, এ ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ে লোকলজ্জায় স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। আর কোনো মেয়ে যাতে এমন জঘন্য ঘটনার শিকার না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। শিক্ষক ওমর ফারুকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সত্যতা পেয়ে শিক্ষক মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাই। পরে তিনি ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ওমর ফারুককে বারবার ফোন করেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।