ফুটবলে কিক মারায় স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা

নোয়াখালীর চাটখিলে ফুটবলে কিক মারায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত ওসমান গণি (১৫) উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের মোকামী বাড়ির মিজানুর রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় সপ্তগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।  

এর আগে, গত রোববার ৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার বসতঘর সংলগ্ন আঙিনায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।    

নিহতের জেঠাতো ভাই শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার ৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে আমাদের প্রতিবেশী মানিকপুর গ্রামের পুরান বাড়ির মন্টুর ছেলে মুসলিম (১২) বাড়ির সামনের রাস্তা সংলগ্ন আঙিনায় ফুটবল খেলছিল। ওসমান তার পাশেই পাকা নামাজের টং ঘরে বসে মোবাইল চাপছিল। হঠাৎ বল এসে ওসমানের পায়ের কাছে পড়লে ওসমান ফুটবলে জোরে কিক মারে। তখন ফুটবলটি পাশের একটি একতলা বিল্ডিংয়ের ছাদে গিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক মুসলিম কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে জানায় ওসমান কাকা তার ফুটবল কিক মেরে ফেলে দিয়েছে। কিছুক্ষণ পর মুসলিমের বাবা মো. মন্টু (৩২) একটি কাঠ নিয়ে এসে ওসমানকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।    

অপর এক প্রশ্নের জবাবে শাহ আলম বলেন, হামলাকারী মিন্টুর বেশ কয়েকজন আপন ভাই রয়েছে। তারা সবাই উশৃঙ্খল,মানুষের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি তাদের নেশা। আমরা সবাই ঢাকা থাকি। ওসমানের পরিবারও ঢাকা থাকত। কয়দিন আগে তার বাবা গ্রামে একটি বাড়ি করেন। হামলাকারী মন্টু ভবন নির্মাণের সময় কাজ চেয়েছিলেন। ওই কাজ না পেয়ে তিনি ওসমানের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। না হলে শুধুমাত্র ফুটবলে একটি কিক মারার কারণে একজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে।              

চাটখিল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ওই কিশোর আজকে মারা গেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় নিহতের মা উম্মে হানি রুমা ঘটনার দিন রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ মামলা নেয়।