নোয়াখালীতে এক দিনে পানিতে ডুবে ছয় শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালীর চারটি উপজেলায় এক দিনে পানিতে ডুবে দুই ভাইসহ ছয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৫ জুলাই) কবিরহাট, হাতিয়া, সুবর্ণচর এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।

মৃত ছয় শিশু হলো- কবিরহাটের চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামেশ্বরপুর গ্রামের আবু নাছেরের ছেলে রিশাদ (৯) ও রিশান (৭), হাতিয়ার নলচিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রিয়াজের মেয়ে নিহা আক্তার (৫), কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নের গাংচিল গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে আবু বক্কর (৫), সুবর্ণচরের চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরবৈশাখী গ্রামের সালাহ উদ্দিনের মেয়ে রীমা (১২) ও মো. হোসেনের মেয়ে আমেনা (১০)।

কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম, হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান ও চরজব্বর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কবিরহাটের চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন টিটু ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার দুপুর ১টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী বড় ভাই রিশাদ পুকুরঘাটে পা পিছলে পানিতে পড়ে যায়। এ সময় ছোট ভাই রিশান তাকে তুলতে গিয়ে সেও পানিতে তলিয়ে যায়। এতে দুজনই ঘটনাস্থলে মারা যায়।

হাতিয়ার নলচিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মনছুর উল্যাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায় শিশু নিহা। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রাজ্জাক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাড়ির সবার অগোচরে গাংচিল গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে আবু বক্কর পানিতে পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চরওয়াপদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে এসে পানিতে পড়ে রীমা ও আমেনা নামে দুই চাচাতো বোন মারা গেছে। পরিবারের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।