ব্রেকিং:
লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র সুবর্ণচরে এক বুথে ঘণ্টায় পড়ল ১ ভোট ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ইউনিয়নে উন্নয়ন বন্ধ করার হুমকি এমপিপত্নীর নোয়াখালীতে ভোটের আগের রাতে টাকা বিতরণের অভিযোগ আওয়ামী লীগে স্বজনদের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে ভোটের সম্পর্ক নেই: জাতীয় মানবাধিকার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯  

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক খুঁজে পায়নি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত কমিটি। তবে তারা ওই নারীকে গুরুতর আঘাত ও ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন। ‘পূর্বশত্রুতার জেরে’ ওই ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে কমিশন। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের দিন রাতে সোহেল, হানিফ, চৌধুরী, স্বপন, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন গৃহবধূর বসতঘর ভাংচুর করে। একপর্যায়ে তারা স্বামী ও চার সন্তানকে বেঁধে রেখে ঘরের বাইরে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ শেষে পিটিয়ে আহত করে। পরে ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা বসতঘর ভাংচুর করে ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়। পছন্দের প্রতীকে ভোট দেওয়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটে বলে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। এরই মধ্যে পুলিশ অধিকাংশ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের কমিটিতে প্রধান ছিলেন কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর। অন্য দুই সদস্য হলেন- কমিশনের উপপরিচালক সুস্মিতা পাইক ও গাজী সালাহউদ্দিন।

গত ১ জানুয়ারি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক তাৎক্ষণিকভাবে কমিশনের পরিচালকের (অভিযোগ ও তদন্ত, জেলা ও দায়রা জজ) নেতৃত্বে তিন সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। এই দলটি পরের দিনই ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারী, তার স্বামী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এসে কমিশনে প্রতিবেদন তৈরি করে তা দাখিল করেন।

এরপর ৮ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কমিশনের প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনের অনুলিপি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো হয়।

কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক সমকালকে বলেন, পারিবারিক শত্রুতার জেরে রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে নির্যাতন করে অভিযুক্তরা। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমাদের দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার এজাহারে ওই নারীর ধানের শীষের নেতাকর্মী ও সমর্থক হওয়া, ধানের শীষে ভোট দেওয়া এবং আসামিরা নৌকা প্রতীকের নেতাকর্মী, সমর্থক ও পোলিং এজেন্ট কিংবা নির্বাচনী বিরোধের জেরে মারধর বা ধর্ষণের শিকার হওয়ার কোনো তথ্যের উল্লেখ নেই। বরং এজাহারে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, আসামিরা পূর্বশত্রুতার জেরে মারধর ও ধর্ষণ করে। এ ছাড়া ওই নারী তদন্ত কমিটির সামনে দেওয়া জবানবন্দির কোথাও বলেননি, তিনি ধানের শীষে ভোট দিয়েছেন। তার স্বামীও এসব কথা বলেননি।

প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়া বা ভোট দেওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বা আসামিরা আওয়ামী লীগের কর্মী কিংবা আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর মাধ্যমে ওই নারী মারধর ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।