ব্রেকিং:
লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র সুবর্ণচরে এক বুথে ঘণ্টায় পড়ল ১ ভোট ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ইউনিয়নে উন্নয়ন বন্ধ করার হুমকি এমপিপত্নীর নোয়াখালীতে ভোটের আগের রাতে টাকা বিতরণের অভিযোগ আওয়ামী লীগে স্বজনদের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হচ্ছে হাতিয়া-নিঝুম-কুতুবদিয়া

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

চলতি বছরের মধ্যে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও চরাঞ্চলসহ সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ রোডম্যাপের সুপারিশ অনুযায়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপ এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের শতভাগ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’ নামের প্রকল্পটি গত ৩ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটি বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)।

জানা গেছে, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে মোট ৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩৭০ কোটি ৮৮ লাখ ৩১ হাজার টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৩ কোটি ৪৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমি এ প্রকল্পের গ্রেট সাপোর্টার। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ, কুতুবদিয়া দ্বীপ আমাদের জাতীয় গ্রিডের আওতাভুক্ত নয়। ঢাকায় বসে আমরা যে মানের বিদ্যুৎ পাচ্ছি, এসব দ্বীপের মানুষও যেন সার্বক্ষণিক সেই বিদ্যুৎ সেবা পায়, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটা একটা ইন্টারেস্টিং প্রকল্প।

জানা গেছে, প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- হাতিয়া দ্বীপ শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মুকতারিয়া-নিঝুম দ্বীপ খাল দেড় কিলোমিটার ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে নিঝুম দ্বীপ শতভাগ বিদ্যুতায়ন, কুতুবদিয়া চ্যানেলে ৬ কিলোমিটার ৩৩ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং ৪২ হাজার গ্রাহককে (প্রায় ৪ লাখ ২ হাজার সংখ্যক জনগোষ্ঠী) বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা।

এ প্রকল্পের আওতায় চারটি নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ (তিনটি হাতিয়া দ্বীপে ও একটি কুতুবদিয়া দ্বীপে), কুতুবদিয়া চ্যানেলে ৬ কিলোমিটার ৩৩ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন, মুকতারিয়া-নিঝুম দ্বীপ খালে দেড় কিলোমিটার ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন, নতুন মোট ৬৭৬ কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণ (হাতিয়া দ্বীপে ৪৬৫ কিলোমিটার, নিঝুম দ্বীপে ৪৭ কিলোমিটার ও কুতুবদিয়া দ্বীপে ১০ কিলোমিটার), বিদ্যমান ৩৫ কিলোমিটার বিতরণ লাইন রেনোভেশন (হাতিয়া দ্বীপে ২৫ কিলোমিটার ও কুতুবদিয়া দ্বীপে ১০ কিলোমিটার), মোট ২ হাজার ৭০০টি পোল মাউন্টেড বিতরণ উপকেন্দ্র স্থাপন (হাতিয়া দ্বীপে দুই হাজারটি, নিঝুম দ্বীপে তিনশটি ও কুতুবদিয়া দ্বীপে চারশটি) এবং অফিস ভবন কাম রেস্ট হাউজ, ডরমিটরি, সীমানা দেয়াল ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিদ্যুৎ খাত সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে।