ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

গৃহহীন অসহায় মমতাজকে টিম হাসিমুখের ঘর উপহার!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২০  

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নের বাসিন্দা মমতাজ বেগম।তিনি ভিক্ষা করেই সংসার চালান। মমতাজ বেগম নদীর কূলে একটি ভাঙ্গা ঘরে দীর্ঘদিন দিন কাটাচ্ছেন।শীত,গ্রীষ্মকাল কোনো রকম গেলেও বর্ষায় ঘরে ঘুমানো যেতো না!তার প্রথম স্বামী মারা গেছেন দু সন্তান রেখে, পরের স্বামী নেন না খৌঁজ। নদীর কূলে থাকা মমতাজের বড় মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত।চোখে সহ শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে, নেই ঔষধের পয়সা।যারা দু মুঠো খেতেই মুশকিল, তাদের আবার চিকিৎসা!

ঠিক সেসময়ে খবর পেয়ে টিম হাসিমুখ ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ এবং চোখের চশমা কিনে দেন মমতাজকে।কথা দিয়েছিলেন, একটা থাকার ঘরও করে দেবেন।গত এক মাস ঘর তৈরির জন্য যাবতীয় আসবাবপত্র সংগ্রহ করেন টিম হাসিমুখের স্বেচ্ছাসেবীরা।ঘর তৈরির জন্য মাটি ভরাট আর গাছ ক্রয় করে কাঠ বানানো থেকে যাবতীয় কাজ করেছেন টিম হাসিমুখের সদস্যরা!

টিম হাসিমুখের সদস্য আজাদ খান জানান, আমরা কথা দিয়েছি মানে একটি দায়িত্ব নিয়েছি। সে দায়িত্ব থেকে আজ মমতাজ বেগমের ঘর সম্পূর্ন করে দিয়েছি। ঘর পেয়ে মমতাজ বেগম খুশি হয়েছেন আর তাতেই আমাদের গত এক মাসের ক্লান্তি দুর হয়ে গেছে।

স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জাানান, বেশ কয়েক বছর ধরে দেখছি একদল তরুন কখনো অসহায় মানুষের জন্য চাল পৌছে দিচ্ছেন, কখনো অসহায় কোনো মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।আবার কখনো অসুস্থ্য অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সাধ্যমত।এছাড়াও বিপদগ্রস্ত মানুষকে রক্ত দিতে কখনো কখনো ছুটে যান এ শহর থেকে ঐ শহরে।অনেককেই দেখি একটুতেই হাঁপিয়ে উঠেন, ক্লান্ত হয়ে পড়েন তবে এ তরুণদের মাঝে সে ক্লান্তি দেখিনি।প্রায় দেখে থাকি অনেক গুলো পরিবার আছে যারা এতই অসহায় যে আদরের মেয়েটার বিয়ের সময় বরপক্ষের ২০ জন লোককে ভাত খাওয়াবেন সে ক্ষমতাও নেই!ঠিক, সেরকম বহু পরিবারের জন্যে হলুদের রাতে মোরগ,চাল, ডাল নিয়ে হাজির হয় টিম হাসিমুখ।

ঘর পেয়ে মমতাজ বেগম বলেন, আমি কল্পনাও করতে পারিনি একটি ঘর এতো সহজে পাবো।ভিক্ষা করে যা পাই কোনো রকম দু মুঠ খেতে চলে যায়। দুইটা মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত দুশ্চিন্তায় ছিলাম।আল্লাহ এদের মঙ্গল করুক।