ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নারীকে বিবস্ত্রের ঘটনায় নতুন মোড়, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২০  

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনার পর একে একে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন ধরনের চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে এবার নতুন তথ্য জানালেন নির্যাতনের শিকার নারীর বোন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ বর্বরতার পেছনে আমার বোনের সাবেক স্বামী সুমন মিয়ারও হাত আছে বলে আমি ধারণা করছি৷ কারণ, ১২ বছর আগে আমার বোনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভেঙে গেছে৷ আর ওই দিন রাতে সে আমার বোনের সঙ্গে দেখা করতে আসার কয়েক মিনিট পরই সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢোকে৷

তিনি আরো অভিযোগ করেন, নির্যাতনের পর আশপাশের কয়েকজন বয়স্ক লোকও এসেছিলেন৷ তারাও কোনো কথা বলেননি৷

নির্যাতিতার বোন জানান, ২ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে তার বোন নোয়াখালীর মাইজদীতে তার বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন ৷ ৪ অক্টোবর ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এর আগে তারা দুই নির্যাতনকারীর মা-বাবা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে ঘটনাটি জানান। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ ৩২ দিনে নির্যাতনের শিকার নারী ও তার পরিবারকে হুমকি-ভয়ভীতি দেখানো হয়।

নির্যাতনের শিকার নারীর জানান, মাইজদীতে তার বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার পর তাকে সেই রাতের নির্যাতনের বিস্তারিত জানিয়েছিলেন ওই নারী৷ এছাড়া বছরখানেক আগে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলেও বোনকে জানান তিনি৷ এরপর তার ছোট বোন একলাশপুরে তার বোনকে নিয়ে ফেরেন৷

ওই নারীর বোন জানান, প্রথমে দেলোয়ার বাহিনীর দেলোয়ার এবং আরো এক সদস্য বাদলের পরিবারের কাছে তারা নালিশ দেন৷ কিন্তু তাদের বাবা-মা বিষয়টি আমলে না নিয়ে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়৷ তারা দাবি করেন, তাদের ছেলেরা ‘ভালো’৷ ওই নারীই ‘মিথ্যা’ অভিযোগ করছে৷ এরপর তিনি তার বোনকে নিয়ে সোহাগ মেম্বারের কাছে যান। সোহাগ মেম্বার প্রথমে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন তবে সময়ক্ষেপণ করছিল৷ প্রথমে অনেক সহানুভূতি দেখালেও পরে চোখ উলটায়৷ একপর্যায়ে দুই বোন থানায় অভিযোগ করার কথা বললে মেম্বার তাদের ভয় দেখায়৷ বলে, ‘থানায় গিয়ে কাজ হবে নেই। উল্টো তোমরাই বিপদে পড়বে৷’

নির্যাতিতার বোন বলেন, এরপর তো ভিডিও প্রকাশ পেলো৷ পুলিশ তৎপর হলো৷ পুলিশ এসে মাইজদীতে আমার বাসা থেকে বোনকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে যায়৷ এখন তিনি পুলিশের নিরাপত্তার মধ্যেই থানায় আছেন৷

মাইজদীতে পালিয়ে যাওয়ার পরও দেলোয়ার বাহিনী ওই নারীর পিছু ছাড়েনি বলে জানান তার বোন৷ তারা তাকে বাড়িতে ফিরে আসার জন্য নানাভাবে চাপ দিতো৷ ফোন করতো৷ ফিরে না এলে ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়৷ এরপর ফোনে আবার ওই নারী সোহাগ মেম্বারকে অনুরোধ করেন তারা যেন এখন তাকে মুক্তি দেয়৷ যেন আর ঝামেলা না করে৷ এতেও কোনো কাজ হয়নি৷ সোহাগ মেম্বার শুধু বলেছেন ওদের অনেক ক্ষমতা, ওরা যা বলে তা করাই ভালো৷

তারা ১০ হাজার টাকা চাঁদাও দাবি করে, নয়তো ওই বর্বর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দেয়৷ কিন্তু নির্যাতিত নারীর কাছে টাকা না থাকায় দিতে পারেননি৷ তখন তিনি বোনের বাড়িতে থাকেন, টাকা দেবেন কোথা থেকে৷ এমন পরিস্থিতিতেই ওই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে৷

পুলিশকে জানাননি কেন- জবাবে তিনি বলেন, মেম্বার জানাতে দেয়নি৷ আর পুলিশকে জানালে আরো ভয়ংকর পরিণতি হবে বলে তারা হুমকি দেয়৷ তারা বলে পুলিশ কিছুই করবে না৷

তিনি বলেন, এখন যা হয়েছে ভালো হয়েছে৷ এই ভিডিও প্রকাশ না পেলে আমার বোন আরো নির্যাতনের শিকার হতো৷ বিচার তো দূরের কথা৷ এখন আশা করছি আমরা বিচার পাবো৷ সন্ত্রাসীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই৷

এ ঘটনায় এ পর্যন্ত দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার এবং ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এরমধ্যে নয়জন বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে রয়েছে। এরইমধ্যে পাঁচজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।