ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

হাতিয়ায় শিক্ষকবিহীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাগলের দখলে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২০  

শ্রেনী কক্ষে রাখা হয়েছে ধানের বস্তা,অন্য কক্ষে রাতে বাধা হয় ছাগলের পাল, ভবনের ছাদে শুকানো হয় সিদ্ধ ধান,ছাত্র-ছাত্রী নয়,এসব কাজে ব্যস্ত এলাকার লোজনের বিচরণে মুখরীত থাকে বিদ্যালয়টি। শিক্ষক না থাকায় ছাত্র ভর্তী, পড়ালোখা ,পরীক্ষা কিছুই হয়না এ বিদ্যালয়ে।এতে অনেকটা পরিত্যক্ত ভবনে পরিনত হওয়ায় শ্রেণীকক্ষগুলো রাতের বেলায় ছাগলের ও দিনের বেলায় কৃষকের দখলে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ নামার বাজার এলাকার বাতায়ন কিল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত “বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় ১৫০০ বিদ্যালয় নির্মান“ প্রকল্পের অধীনে নিঝুমদ্বীপের ৪নং ওয়ার্ড়ে এ বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর থেকে স্থায়ীভাবে কোন শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় আলোর মূখ দেখেনি বিদ্যালয়টি।
স্থাপনের পরে দুজন শিক্ষককে ডিপুটিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিয়োগের পর পরই তারা কিছুদিন পর বদলি হয়ে চলে যায়। বর্তমানে বেসরকরী একটি এনজিওর একজন শিক্ষক ১ম ও ২য় শ্রেনীর কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা থেকে নিয়োগ নিয়ে বিদ্যালয়ে দুটি শ্রেনীতে ১৫-২০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠদান দিচ্ছেন ইয়াসমিন আক্তার নামে একজন শিক্ষক। ইয়াসমিন জানান, শিক্ষক না থাকায় গ্রামের অনেক শিশু এখন পড়ালেখা বাদ দিয়ে অন্য কাজ করছেন।


মূলভ’খন্ড থেকে নিঝুমদ্বীপ শিক্ষায় অনেকটা পিছিয়ে তাই কর্তপক্ষ নিঝুমদ্বীপে বিদ্যালয়টি স্থাপন করে । নতুন এ বিদ্যালয়কে গিরে অনেকে বিদ্যালয়ের পাশে বসবাস গড়ে তোলে কিন্তু শিক্ষক না দেওয়ায় গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষায় কোন কাজে আসেনি এটি,  জানান নিঝুমদ্বীপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইফুল ইসলাম।
বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর ছাত্রী রুপসী ও রুপবানের সাথে আলাপ করে জানাযায়,বর্তমানে বিদ্যালয়ে ১ম ও ২য় শ্রেনীর পড়ালেখা চললেও তাতে নেই অনুকূল পরিবেশ । বিদ্যালয় ভবনে এলাকার অনেকে ছাগল বাধা, ধান মজুত করা ও ধান শুকানের কাজ করায় পড়া লেখা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানান তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ হাতিয়া উপজেলা সদরের পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে ৮-১০ জন করে শিক্ষক রয়েছে। কর্তপক্ষ ইচ্ছা করলে উপজেলা সদর কিংবা পাশবর্তী ইউনিয়ন থেকে শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি ভালোভাবে চালাতে পারে।
এ ব্যপারে হাতিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভবরঞ্জন দাস জানান,শিক্ষক স্বল্পতার কারনে এ বিদ্যালয়টি চালু করা যাচ্ছে না । তবে পাশবর্তী বিদ্যালয়ে গিয়ে এখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়া লেখা করতে পারে । আমি আশা করছি আগামি জানুয়ারীতে কয়েকজন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি চালু করবো।