ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সুশোভন রক্তকাঞ্চনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯  

ফুলপ্রেমী সকলের কাছে কাঞ্চন ফুল একটি পরিচিত নাম। কাঞ্চন ফুলের কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে- দেবকাঞ্চন, শ্বেতকাঞ্চন ও রক্তকাঞ্চন। ফুলের রং, শোভা আর সৌন্দর্যে সবাই রক্তকাঞ্চনকেই বেশি পছন্দ করেন। তাই কাঞ্চনের মধ্যে রক্তকাঞ্চনই সেরা।

কাঞ্চনের জন্মস্থান ভারত ও বাংলাদেশ। ইংরেজি নাম : orchid tree, camel`s foot tree, kachnar and mountain-eboû. পরিবার : Caesalpinaceae. উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম : Bauhinia variegat.

তুলনামূলকভাবে তিন কাঞ্চন ফুলের মধ্যে রক্তকাঞ্চনই দেখতে বেশি সুন্দর। বসন্তের রক্তিম এ ফুলটির নাম শুনলেই বোঝা যায় এই ফুলে রঙয়ের উপস্থিতি কেমন হবে। শীতের শেষে যখন রক্তকাঞ্চনের সব পাতা ঝরে যায় তখন পত্রহীন গাছ ভরে ওঠে রক্তিম ফুলে। রক্তকাঞ্চনের আদি নিবাস ভারতে। তবে বহুকাল ধরে বাংলাদেশে এর বিস্তারের ফলে এটি আমাদের নিজস্ব গাছ হয়ে উঠেছে।

এরা দেবকাঞ্চনের  চেয়ে  আকারে কিছুটা ছোট হয়। এদের পাতার গড়ন দেবকাঞ্চনের মতোই। রক্তকাঞ্চনের ফুল ৫টি পাঁপড়ি যুক্ত। তবে এ ফুলের একটি পাঁপড়ি আকারে বড় ও গাঢ় রঙয়ের হয়ে থাকে। কাঞ্চন গাছের বাকল থেকে ট্যানিং, রঙ ও দড়ি তৈরি করা যায়। কাঞ্চন বীজের তেল এক সময় সস্তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত হতো। কাঞ্চনের শিকড় বিষাক্ত। এটিকে আদিবাসীরা সর্প দংশনের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

রক্তকাঞ্চনের রয়েছে ভেষজ গুণাগুণ। উঁচু ভূমি, রৌদ্র উজ্জ্বল পরিবেশ থেকে হালকা ছায়াযুক্ত স্থান ও প্রায় সব ধরনের মাটিতে রক্তকাঞ্চন জন্মে। আমাদের দেশে কোনো কোনো বসতবাড়িতে বা প্রতিষ্ঠানের বাগানে, বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কের আইল্যান্ড, পার্ক, উদ্যান, বন-জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকায় রক্তকাঞ্চন গাছ দেখা যায়।

 

লেখক ও গবেষক

ড. সুবোধ কুমার সরকার

চেয়ারম্যান

বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ