ছাত্রীকে নিয়ে ইমামের পলায়ন, অতঃপর...

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বিবি আমেনা ওরফে পূর্ণিমা আক্তার (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পালিয়ে  গিয়ে ৪ মাস পর এলাকায় এসে জনতার হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন ৩ সন্তানের জনক এক মসজিদের ইমাম। গণধোলাই খেয়ে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে ওই ইমাম। ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার সন্ধ্যায় সুবর্ণচর উপজেলার ৪নং চর ওয়াপদা ইউনিয়নের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের দক্ষিণ ওয়াপদা বাজারে। গণধোলাইয়ের শিকার নুর আলম (৩৮), নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডার চর ইউনিয়নের জাকির মিকারের বাড়ির জয়নাল আবেদীনের ছেলে এবং সুবর্ণচর উপজেলার ৪নং চরওয়াপদা ইউনিয়নের পূর্ব চরজব্বর গ্রামের হাজী দুদা মিয়া মসজিদের ঈমাম এবং আল আমিন বাজার মাদ্রাসার শিক্ষক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একই গ্রামের পূর্ণিমা আক্তার (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে পেলে পালিয়ে যান ৩ সন্তানের জনক মসজিদের ইমাম নুর আলম।  দীর্ঘ ৩ মাস চট্টগ্রামের লুকিয়ে থেকে গত পহেলা আগস্ট সুবর্ণচরে আসেন নুর আলম। পূর্বেই স্ত্রীর করা অভিযোগে সালিশ বসে এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বারগণ, তারা সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার চরজব্বার থানার পুলিশ নিয়ে ৪নং চরওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদে যান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নুর আলমকে ১ মাসের জেল এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। গত বৃহস্পতিবার তার সাজার ১ মাস ফেরিয়ে গেলে জেল থেকে মুক্ত হন তিনি। সেই থেকে কিছুদিন নিজ বাড়িতে থাকেন। গতকাল সে তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরজব্বর গ্রামে তার নির্মিত বাড়িতে চলে আসেন, সন্ধ্যায় স্থানীয় দক্ষিণ ওয়াপদা বাজারে গেলে স্ত্রী সন্তান রেখে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে কেন পালালেন এলাকাবাসী প্রশ্ন করলে নুর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিয়ে বাজে কটূক্তি করেন,  তার এমন আচরণে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়। জনতার হাতে মার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী আয়েশা ছিদ্দিকাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে,  স্ত্রীর শোর-চিৎকারে পাড়া প্রতিবেশী এসে আয়েশাকে উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে আহত আয়েশা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।