ইন্দোনেশিয়ায় ফের প্রেসিডেন্ট হলেন জোকো

ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনে ফের জয়লাভ করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। গেল মাসে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক জেনারেল প্রাবোও সুবিয়ান্তোকে পরাজি ত করে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন তিনি। নির্বাচনে ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পান তিনি।

বুধবার ফলাফল প্রকাশের নির্ধারিত দিন থাকলেও তার একদিন আগেই সম্ভাব্য রাজনৈতিক সহিংসতার আশঙ্কায় মঙ্গলবার দিন শুরুর প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ফলাফল ঘোষণাকে সামনে রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে রাজধানী জাকার্তায় প্রায় ৩২ হাজার নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল বলে আরেক বার্তা সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, উইদোদো ৫৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রাবোও পেয়েছেন ৪৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি একইদিন জাতীয় ও স্থানীয় পরিষদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাররা ২০ হাজার স্থানীয় ও জাতীয় আইনপ্রণেতাকেও বেছে নিয়েছেন। 

এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করতে আদালতে যাবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত করেননি প্রাবোও। চূড়ান্ত গণনার আগে ‘ব্যাপক প্রতারণার’অভিযোগ করে রাস্তায় রাস্তায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন তিনি। 

প্রচারণার সময় দুপক্ষের মধ্যে তিক্ততার সৃষ্টি হলেও নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীন পর্যবেক্ষকরা ১৭ এপ্রিলের ওই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল বলে মত দিয়েছেন।

ফলাফল ঘোষণার পর রেজাল্ট শিটে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছেন প্রাবোওর প্রচারণা টিমের প্রতিনিধি আজিস সুবেক্তি। “অবিচার, প্রতারণা, মিথ্যা ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এসব পদক্ষেপের মুখেও হাল ছাড়ছি না আমরা” বলেছেন তিনি।

কর্তৃপক্ষগুলো সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি উত্তেজনা সামাল দেয়ার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

নির্বাচন কমিশন দফতরের চারদিকে নিরাপত্তা সদস্যদের মোতায়েন করে কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে, সামনে জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

৫৭ বছর বয়সী জোকো উইদোদো ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে তিনি প্রাবোওকে পরাজিত করেছিলেন।

খুব সাধারণভাবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করা উইদোদো এবারের প্রচারণার সময়ও তার ‘গণমানুষের লোক’ ভাবমূর্তির ওপরই জোর দিয়েছেন। ২০১২ সালে জাকার্তার গভর্নর নির্বাচিত হয়ে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। প্রথম মেয়াদে তার নেতৃত্বে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি স্থিতিশীলতা বজায় রেখে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।