ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

এবার বিদ্যুৎ বিল বয়কট, অন্ধকারে মিয়ানমার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২১  

সেনা শাসনের বিরোধিতার অংশ হিসেবে সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ বিল বয়কট করায় বিপাকে পড়েছে মিয়ানমারের এই খাত। আর্থিক সংকটের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়েছে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও।

জাপান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকেই নাগরিকরা বিদ্যুৎ বিল দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে দেশটির বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব আয় ৯০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে।

বর্তমানে দেশটিজুড়ে ২৪ ঘণ্টার অধিকাংশ সময়ই থাকছে লোডশেডিং। দেশটির সরকারি হাসপাতালগুলো লোড শেডিংয়ে পড়ার কারণে সেখানে প্রায় সার্বক্ষণিক জেনারেটর চালাতে হচ্ছে। এদিকে মিয়ানমারে জ্বালানি তেলের দামও ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চরম হুমকিতে পড়েছে সেখানকার জনস্বাস্থ্য পরিষেবা।

সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর সেখানকার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় 'বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও সরকার সহযোগিতা করতে পারছে না। বিদ্যুতের দাম ও সরবরাহও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না।'

অভ্যুত্থানের কারণে বিদ্যুৎ খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা যায়নি। যেমন: ডিজিটাল মিটার বসানো, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আগে সতর্কতা দেওয়া, বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্বিঘ্ন করা, সংযোগ বাড়ানো ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর দেওয়া ইত্যাদি।

অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত চার হাজার ৫৮ জন সামরিক স্টাফকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশই বিল সংগ্রহ ও কারিগরি সহযোগিতা দিতেন। সেনাদের ক্ষমতা দখলের আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে কর্মী ছিলেন প্রায় ৫০ হাজার। এই চার হাজারের বেশি কর্মীকে বরখাস্ত করায় এর প্রভাব মন্ত্রণালয়ে পড়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাসীন অং সাং সু চিকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটির জনগণ বিক্ষোভ করে আসছে। নিরাপত্তা বাহিনীর বিক্ষোভ দমনের চেষ্টায় এখন পর্যন্ত হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ প্রাণভয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে।

মিয়ানমার সেনা বাহিনীর দমনপীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বহু দেশ।