ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মৃত্যুতে চীনকে ছাড়ালো স্পেন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২০  

মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর দিক দিয়ে ইতালির পর এবার ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনও অতিক্রম করলো চীনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় স্পেনে নতুন করে মারা গেছেন ৭৩৮ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। যেখানে চীনে মৃতের সংখ্যা বর্তমানে ৩২৮১ জন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার একদিনে স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আগের দিনের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২০ গুণ।

কোভিড-১৯ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মারা গেছে ১৯ হাজার ৭৪৪ জন। এরমধ্যে ৬ হাজার ৮২০ জন মৃত্যু নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে ইতালি। আর ৩ হাজার ৪৩৪ জন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে স্পেন এবং ৩ হাজার ২৮১ জন নিয়ে তৃতীয় স্থানে চীন।

স্পেনের সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে মাদ্রিদ ও এর আশেপাশের অঞ্চল। দেশটিতে মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশ ঘটনা এই অঞ্চলেই ঘটেছে। এছাড়া দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রচুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

অর্থনৈতিকভাবে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দেশ স্পেন এখন কার্যত মৃত্যুপুরী। পর্যটক শূন্য পুরো দেশ। কোথাও নেই কোলাহল। ফার্মেসি ও সুপার মার্কেট ছাড়া সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।

পুরো দেশ ‘রেড জোন’ এর মধ্যে রয়েছে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। গত রোববার সরকার সবকিছু বন্ধের সময় বাড়িয়েছে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। এ পরিস্থিতি দেশের পুরো কাঠামো ভেঙে পড়ার উপক্রম। অর্থনৈতিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। এক অনিশ্চিত সঙ্কটের দিকে এগোচ্ছে স্পেন।

সবার মতো স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও রয়েছেন আতঙ্কের মধ্যে। পরিসংখ্যান বলছে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে ১০শতাংশই স্বাস্থ্যকর্মী। গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ফেরনান্দো সাইমন বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৩ হাজার ৪৭৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্কটের পাশাপাশি করোনাভাইরাসের রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতেও রোগীদের জায়গা করে দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মাদ্রিদের হাসপাতালগুলোতে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আইসিইউতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। যদিও সব বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সরকারের অধীনে নেয়া  হয়েছে। এরইমধ্যে স্পেনের সবচেয়ে বড় সম্মেলনকেন্দ্র ‘ফেরিয়া দে মাদ্রিদ’এর ইফেমা-কে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় অস্থায়ী হাসপাতাল করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।

স্পেনে মারাত্মক স্বাস্থ্যকর্মী সঙ্কটের ফলে সরকার মেডিকেল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী এমনকি অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদেরও নিয়োগ দিচ্ছে।

দেশটিতে চলমান ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা আরো ১৫ দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই যেন হার মানছে না করোনা ভাইরাস। এ মহামারি থেকে কখন মিলবে মুক্তি? এমন প্রশ্ন আর চলমান হতাশার মধ্যেই দিন পার করতে হচ্ছে সবাইকে।