ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

উপসাগর থেকে দূরে থাকতে বিদেশি বাহিনীকে ইরানের হুঁশিয়ারি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

সৌদি তেল স্থাপনায় হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েনের ঘোষণার পর উপসাগরীয় অঞ্চল ছাড়তে মার্কিন বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। বিদেশি সেনারা উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির মুখে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

১৯৮০-১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চলা ইরান-ইরাক যুদ্ধের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক ভাষণে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে উপসাগর থেকে দূরে থাকতে বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

রুহানি বলেন, বিদেশি সেনারা সবসময় এই অঞ্চলের জন্য ‘যন্ত্রণা ও দুর্ভোগ’ বয়ে এনেছে। তাদের অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় ব্যবহার হওয়া উচিত নয়।

সম্প্রতি সৌদির আরবের দুটি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে। তবে তেহরান সৌদিতে হামলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আগামী অধিবেশনে ইরান উপসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি স্থাপনের জন্য নতুন একটি প্রস্তাব তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন রুহানি। 

ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যাওয়ার পর চলতি বছরে তেহরান-ওয়াশিংটন চরম উত্তেজনা শুরু হয়। ইরানের বিরুদ্ধে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

ওদিকে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের আরো সেনা মোতায়েনের খবর প্রকাশের পর ইরানের বিখ্যাত রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, যেই হামলা চালাবে পিছু নিয়ে তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে।

তবে প্রেসিডেন্ট রুহানি পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে নয় বরং শান্তির আমন্ত্রণ জানিয়ে উত্তেজনা প্রশমন করতে চাইছেন। 

টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে রুহানি বলেন, “বিদেশি শক্তিগুলো আমাদের এ অঞ্চল এবং এর জনগণের জন্য নিরাপত্তাহীনতা ও সমস্যার কারণ হতে পারে। অতীতে বিদেশি সেনা মোতায়েনের ঘটনা উপসাগরে ‘বিপর্যয়’ ডেকে এনেছিল। তাই আমি তাদেরকে দূরে থাকতে বলেছি।”

“তারা যদি আন্তরিক হয়, তাহলে তাদের উচিত হবে না আমাদের অঞ্চলকে অস্ত্র প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র বানানো। আমাদের দেশগুলো ও এ অঞ্চল থেকে আপনারা (বিদেশি শক্তি) যত দূরে থাকবেন, এখানে তত বেশি নিরাপত্তা বজায় থাকবে,” বলেছেন তিনি।

তেহরান প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার করতে চায় বলেও ভাষণে উল্লেখ করেছেন রুহানি।

এর আগে ইয়েমেনের ইরান ঘনিষ্ঠ হুতিরাও সৌদি আরব এবং এর মিত্রদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। বলেছিল, রিয়াদ ও তার সহযোগীরা যদি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা না চালায়, তাহলে তারাও আর এ ধরনের হামলা চালাবে না।