ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইঞ্জিনে বাচ্চা শালিক, উড়তে শেখা পর্যন্ত অপেক্ষা করবে ট্রেন

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২০  

করোনা ভাইরাসের এই সংকটময় সময়ে চারদিকে যখন মৃত্যু নিয়ে শঙ্কা ও উদ্বিগ্নতা ঠিক সেই সময়ে এক স্বস্তির ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনের লোকোশেডে।

প্রায় ২ মাস ধরে করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ আছে রেল চলাচল। ফলে রেলের ইঞ্জিনগুলো পড়ে আছে বিভিন্ন লোকশেডে। তেমনি রেলওয়ের ৬৫ সিরিজের ০৭ নম্বর ইঞ্জিনিটি রাখা ছিল পার্বতীপুর লোকশেডে। দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ট্রেনের ইঞ্জিনের মধ্যে বাসা বাঁধে এক জোড়া শালিক। এছাড়াও শালিকের ডিম থেকে দুটি বাচ্চা জন্ম নেয়।

পার্বতীপুরে পঞ্চগড় অভিমুখী পণ্যবাহী পার্সেল স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তন করার সময় ওই ইঞ্জিনটিকে বাছাই করে চালু করার চেষ্টা করা হয়। এসময় কর্মকর্তাদের চোখ যায় ইঞ্জিনের মধ্যে একটি ফাঁকা জায়গায়। যেখানে মা শালিক তার ছানাগুলোকে বুকের মধ্যে আগলে বসে আছে। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে উড়ে যায় মা শালিক।

ইঞ্জিন চালু করা হলে পাখির ছানা দুটি মারা যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বিষয়টি জানানো হয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। পরবর্তীতে পার্বতীপুর লোকশেডের ইনচার্জ ছানাগুলো উড়তে শেখা না পর্যন্ত এ ইঞ্জিন চালানো কিংবা কোনো প্রকার মেরামত না করার নির্দেশনা দেন। পরে অন্য একটি ইঞ্জিন দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয় ট্রেনটিকে।

এ প্রসঙ্গে পার্বতীপুর লোকশেডের ইনচার্জ কাফিউল ইসলাম বলেন, পাখির ছানাগুলোর কিচির মিচির আর্তনাদ তার হৃদয়ে আঘাত করে, তারা হয়ত বাঁচার জন্যই কান্নাকাটি করছিল তাই তাদের প্রতি মায়া থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ছানারা বড় হয়ে মুক্ত আকাশে নিরাপদে ডানা মেলবে সেই প্রত্যাশা এই রেল কর্মকর্তার।

বর্তমানে ছানাগুলোর যত্ন নিচ্ছেন তিনি। ছানাগুলোর যাতে সমস্যা না হয় সব সময় খেয়াল রাখছেন কাফিউল। বাচ্চাগুলো যেন কোনো হিংস্র প্রাণীর শিকার না হয় তাই ইঞ্জিনটিতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।