ব্রেকিং:
পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র সুবর্ণচরে এক বুথে ঘণ্টায় পড়ল ১ ভোট ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ইউনিয়নে উন্নয়ন বন্ধ করার হুমকি এমপিপত্নীর নোয়াখালীতে ভোটের আগের রাতে টাকা বিতরণের অভিযোগ আওয়ামী লীগে স্বজনদের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শচীন দেব বর্মনের জন্মবার্ষিকী আজ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০১৯  


লোকজ ও রাগ সংগীতের সংমিশ্রণে সংগীত ভুবনে এক নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন শচীন দেব বর্মন। বর্তমান রিমেকের বাজারে তিনি এখনো সমসাময়িক। তাঁর কালজয়ী গান ‘কে যাস রে ভাটির গাঙ বাইয়া’, ‘রঙ্গিলা রঙ্গিলা’, ‘আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল’, ‘ঘাটে লাগাইয়া ডিঙা’, ‘বাঁশি শুনে আর কাজ নাই’- এমন বহু গানের রিমেক প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায়। কিংবদন্তি এই সঙ্গীতশিল্পীর আজ ১১৩তম জন্ম বার্ষিকী।

শচীন দেব বর্মণের জন্ম ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কুমিল্লায়। তিনি ত্রিপুরার চন্দ্রবংশীয় রাজ পরিবারের সন্তান। ১৯২০ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে  থেকে ম্যাট্রিক পাস করে ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন। এরপর ১৯২২ সালে ঐ কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। পরবর্তীতে  ১৯২৫ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. পাশ করেন।

বাব নবদ্বীপচন্দ্র দেববর্মণের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা নেন শচীন। এরপর তিনি ১৯৩২ সাল থেকে কলকাতা বেতার কেন্দ্রে গান গাওয়া শুরু করেন এবং অতি দ্রুত লোকজ এবং ধ্রুপদী সংগীতের জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন। ১৯৩৫ সালে তিনি কলকাতা সঙ্গীত সম্মেলনে স্বর্ণপদক জিতেন। এর পর তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
১৯৩২ সালে হিন্দুস্তান মিউজিক প্রোডাক্টস থেকে শচীন দেব বর্মণের প্রথম রেকর্ড বের হয়। তাঁর প্রথম দুটি গান ছিল ‘ডাকিলে কোকিল রোজ বিহানে’ এবং ‘এ পথে আজ এসো প্রিয়’।
১৯৩৪ সালে অল ইন্ডিয়ান মিউজিক কনফারেন্সে গান গেয়ে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হন। তাঁর সুরারোপিত গান ‘মেরা সুন্দর স্বপ্না বীত গ্যায়া’ তদানীন্তন বলিউডে বিশাল সাড়া জাগায়। নিশিথে যাইয়ো ফুলবনে, শোন গো দখিন হাওয়া,  কে যাস রে ভাটি গাঙ বাইয়া, তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল, ওরে সুজন নাইয়া, তুমি এসেছিলে পরশু কাল কেন আসনি, আমারে ছাড়িয়া বন্ধু কই রইলা রে; ইত্যাদি শচীন কর্তার কিছু বিখ্যাত গান।
‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ ও ‘অভিমান’ চলচ্চিত্রের জন্য ফিল্ম ফেয়ার সেরা সঙ্গীত পরিচালক পুরস্কার; ‘আরাধনা’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ প্লে ব্যাক ও ‘জিন্দেগী জিন্দেগী’ ছায়াছবির জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার;  ‘পিয়াসা’ ছবির জন্যে এশিয়ান ফিল্ম সোসাইটি পুরস্কার; ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’সহ আরো বহু উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

শচীন দেব বর্মণ তাঁর সংগীত জীবনে অসংখ্য গানের সুর করেছেন, যার অধিকাংশ গানই লতা মঙ্গেশকর, মান্না দে, কিশোর কুমার, মোঃ রফি ও আশা ভোসলের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের গাওয়া। তিনি প্রায় অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্রের সঙ্গিত পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। 
১৯৭৫ সালের ৩১ অক্টোবর মুম্বাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সংগীত ভুবনের এই কিংবদন্তি।