ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনার টিকা পেয়েছে দেশের ২০ ভাগ মানুষ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২১  

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছেন, দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ ভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত তৃতীয় ডোজ টিকা দেয়ার অনুমোদন দেয়নি। অনুমোদন দিলে বাংলাদেশও তা অনুসরণ করবে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য করোনা টিকার বিশেষ কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেয়া হয়েছে। হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের করোনার অন্তত একটি ডোজ নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে টিকা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে টিকার ছয়টি বুথ রয়েছে।

টিকা কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরো বলেন, করোনা টিকা নিলে টিকা গ্রহণের সনদ দেয়ার একটি বিষয় রয়েছে। সেজন্যই মূলত টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা। রেজিস্ট্রেশনের এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশ্লিষ্ট। সেজন্য যাদের এনআইডি আছে প্রাথমিকভাবে তাদেরকে টিকা দেয়া হচ্ছে। যাদের এনআইডি নেই তাদের জন্ম নিবন্ধন কার্ডের মাধ্যমে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। যাদের দুটোর কোনটাই নেই তাদেরকে অনুরোধ করবো- তারা যেন শিগগিরই এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে টিকার আওতায় আসে।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেভাবে ও যে টিকাগুলোর অনুমোদন দিয়েছে এবং যাদেরকে যখন টিকা দেয়ার অনুমোদন দিচ্ছে আমরা সেভাবেই অনুসরণ করছি। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য একটি টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিয়েছে, সেই টিকাটা আমাদের দেশে এখন আছে। এই টিকাগুলো দেয়ার জন্য আমরা প্রস্ততি নিচ্ছি। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে কবে, কোথায়, কিভাবে কমবয়সীদের টিকা দেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক এএ মামুন বলেন, সকাল ১০টা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে দেড়টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই হল থেকে প্রভোস্টের স্বাক্ষরিত ফরম নিয়ে আসতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এবং আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, করোনাভাইরাসের টিকা। যেসব শিক্ষার্থী করোনার টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন তারা হলে প্রবেশ করতে পারছে। যারা টিকা পাননি তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে টিকা নিয়ে শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমাদের কাজটা সহজ হয়। আশা করছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।