ব্রেকিং:
লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র সুবর্ণচরে এক বুথে ঘণ্টায় পড়ল ১ ভোট ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ইউনিয়নে উন্নয়ন বন্ধ করার হুমকি এমপিপত্নীর নোয়াখালীতে ভোটের আগের রাতে টাকা বিতরণের অভিযোগ আওয়ামী লীগে স্বজনদের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

১১ মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এপ্রিলে

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৬ মে ২০২২  

সুবাতাস ফিরেছে রেমিট্যান্স প্রবাহে। এপ্রিল মাসে ২০০ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা) হিসাবে এ অর্থের পরিমাণ ১৭ হাজার ৩৭২ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরের মে মাসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। এরপর ১১ মাসের কোনো মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসেনি।

বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের ওপর সরকারের প্রণোদনা বেড়েছে। এছাড়া পবিত্র রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ বাড়িয়েছেন প্রবাসীরা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দু্-তিন মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ আরো বাড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এ সূচক বেড়েছিল। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ফের গতি কমে। ঐ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এর আগের দুই মাস ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে যথাক্রমে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ও ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিন হওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহে কিছুটা ভাটা পড়ে। তবে মার্চ মাসে ফের গতি বাড়ে এ সূচকে। মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৬ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, এপ্রিলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ও বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার।

বরাবরের মতো এবারো রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। যা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় স্থানে রযেছে ডাচ–বাংলা ব্যাংক। এ ব্যাংকের মাধ্যমে রোমট্যান্স এসেছে ২৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার। এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ৫৭ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৮ লাখ ডলার ও ব্যাংক এশিয়ায় মাধ্যমে ৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

ব্যাংকাররা জানান, দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাড়ে। রমজান মাস ও ঈদে দেশে টাকার চাহিদা ছিল বেশি। টাকার জোগান দিতেই প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

তারা আরো জানান, আগে প্রবাসীদের বৈধ পথে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা ছিল ২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা পাঠালে ২ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হতো। চলতি বছরের শুরুতে এ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। এতে তারা ১০০ টাকা পাঠালে প্রণোদনা পান ২ টাকা ৫০ পয়সা। ফলে প্রবাসীরা বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহ পাচ্ছেন।