ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রবৃদ্ধির আশা দেখাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি। এতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অধিকাংশ বন্দরের অগ্রগতি স্থিমিত হয়ে পড়েছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেছে চট্টগ্রাম বন্দরে।  

নানা সংকটের মধ্যেও এই বন্দর চলতি অর্থবছরে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। অথচ বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি বন্দরের বর্তমান অগ্রগতি নেতিবাচক। 

জানা গেছে, গত বছরের শেষে (ডিসেম্বর) চীনের উহান থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়ে একে একে বন্ধ হতে থাকে সব ধরনের কার্যক্রম। ফেব্রুয়ারিতে এসে অচলাবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করে। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ায় অচল হতে থাকে বন্দরগুলোর অপারেশন। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে চলেছে চট্টগ্রাম বন্দর। একদিনও বন্ধ ছিল না এ বন্দরের কার্যক্রম। প্রথম দিকে পণ্য উঠা-নামা কিছুটা কম থাকলেও জুলাই মাসে এসে রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় এর অগ্রগতি।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসন ও পরিকল্পনা বিভাগের সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম জানান, ইমপোর্ট হয়েছে এক্সপোর্ট বেড়েছে যার ফলে জুলাইতে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে। এখনো যে কার্যক্রম তাতে বছর শেষে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে।

আর পিআইএল লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আবদুল্লাহ জহির বলেন, পোশাক কারখানা খোলা থাকায় পুরোটা সময় ধরেই বন্দরের কার্যক্রম সচল ছিল। 

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের সভাপতি এস এম আবু তৈয়বের দাবি, লকডাউন চলাকালে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের সাহসী সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি সচল রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এ এম চৌধুরী সেলিম বলেন, অবশ্যই রফতানিমুখী পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে।

এর মাঝে গতিশীলতাকে কাজে লাগিয়ে লয়েড লিস্টে বিশ্বের একশো শীর্ষ বন্দরের মধ্যে ৬ ধাপ এগিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর চলে আসে ৫৮তম স্থানে। গত দুই মাসে বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টিইউএস। এছাড়া, পণ্যবাহী জাহাজ এসেছে ৫৬৮টি।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবল আলম বলেন, মানুষ তার কাজের মধ্যে ছিলো। প্রতিটি খাতের মানুষ তার কাজ করেছে।

করোনাকালেও আমদানি-রফতানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে একরাম চৌধুরী। 

দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয় এই বন্দর দিয়েই। যার মাধ্যমে বছরের রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি।