ব্রেকিং:
সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান সৌদি পৌঁছেছেন ১৭ হাজার ১৪১ হজযাত্রী সুবর্ণচরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নিজ্জর হত্যাকাণ্ড: কানাডায় আরো একজন ভারতীয় গ্রেফতার ‘দেশে তেলের সঙ্গে কমবে-বাড়বে বিদ্যুতের দামও’ হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক আজ বিশ্ব মা দিবস জলদস্যুর কবলে পড়া সেই জাহাজ এখন বাংলাদেশের জলসীমায় কেএনএফের সভাপতি সানজু খুম বম গ্রেফতার নিজ এলাকায় পরবাসী হলেন ওবায়দুল কাদের দুই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ ঢাকায় মনোনীত নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত কে এই ডেভিড মিল ঋণ শোধের সক্ষমতা অর্জন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নোয়াখালীতে হেরে গেলেন ওবায়দুল কাদের পতেঙ্গায় আগুন ধরে প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলীতে, ২ পাইলট আহত লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র সুবর্ণচরে এক বুথে ঘণ্টায় পড়ল ১ ভোট ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ইউনিয়নে উন্নয়ন বন্ধ করার হুমকি এমপিপত্নীর নোয়াখালীতে ভোটের আগের রাতে টাকা বিতরণের অভিযোগ
  • বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

যেভাবে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের রিজার্ভ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২  

দেশের রিজার্ভ এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসায় বাড়ছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে অনেকেই জানেন না কীভাবে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের রিজার্ভ।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। সেসময়ে রিজার্ভের অঙ্ক কত ছিল তা জানার উপায় নেই, কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নথিপত্রে স্বাধীনতার প্রথম দশকে রিজার্ভ নেই তেমন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। 
 

রিজার্ভ নিয়ে প্রথম যে তথ্য পাওয়া যায় তা ১৯৮১-৮২ অর্থবছরের। তখন ব্যাংকে রিজার্ভের অঙ্ক ছিল মাত্র ১২ কোটি ১০ লাখ ডলার। তাই নথিপত্র যাচাইয়ের ভিত্তিতে বলা যায়, এ অঙ্কের সামান্য অর্থ নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের রিজার্ভের যাত্রা।
 

এক লাফে বাংলাদেশের রিজার্ভ আকাশচুম্বী না হলেও, দ্রুত বাড়ছিল রিজার্ভের অঙ্ক। পাঁচ বছর পরে ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছর শেষে ব্যাংকে রিজার্ভের অঙ্ক দাঁড়ায় ৭১ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
 

প্রথমবারের মতো, ১৯৯১-৯২ অর্থবছরশেষে রিজার্ভ ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলারের ঘর অতিক্রম করে ১ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে ওঠে- যা ছিল বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক।

১৯৯২-৯৩ অর্থবছর শেষেই রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে ২ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। ৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর শেষে।
 

কিন্তু ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায়  ২ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার। ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে তা আরও কমে ১ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এরপর ১৯৯৭-৯৮ থেকে ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর পর্যন্ত রিজার্ভ দেড় থেকে দুই বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে।

২০০০-০১ অর্থবছরে রিজার্ভ কমে ১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি নেমে আসে। ওই অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার থাকলেও অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে তা ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল।
 

২০০১-০২ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ বেড়ে হয় ১ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর আর বাংলাদেশের রিজার্ভ কখনই ১ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামেনি।
 

২০০৫-০৬ অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ৫ বিলিয়ন ডলার অত্রিক্রম করে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এ সময়টা ছিল বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য উত্থানের গল্প।
 

২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। পরের বছর ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০১৬ সালের জুনে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ২৪ জুন সেই রিজার্ভ আরও বেড়ে ৩৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে।
 

২০১৬ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ বিলিয়ন ডলারে। গত বছর বাংলাদেশের রিজার্ভের অঙ্ক ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার।
 

কিন্তু বৈশ্বিক সংকটে চলতি বছরের জুলাইতে এসে বাংলাদেশের রিজার্ভের অঙ্ক ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। ১২ জুলাই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসা ছিল অনেকটা ভয়ের আগুনে ঘি ঢালার মতো। কেননা শ্রীলঙ্কার সংকট নিয়ে বাংলাদেশের মধ্যেও কাজ করছে এক ধরনের চাপা ভয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনে এক কঠিন সময় অপেক্ষা করলেও, বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কার মতো সংকটে পড়ার আশঙ্কা খুব ক্ষীণ।