ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ভয়ঙ্কর প্রতারণার ফাঁদ: ৭০ টাকার কয়েন কোটিতে বিক্রি!

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২২  

দেখলে মনে হবে শত বছরের পুরনো কয়েন। তাতে লেখা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নাম। পুরনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে প্রতিটি কয়েন বিক্রি করা হচ্ছে কোটি টাকায়।

এমনই চারটি কয়েন কিনার বিষয়ে দালালের মাধ্যমে বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলছেন একজন ক্রেতা। চারটি কয়েন ম্যাগনিফায়িং গ্লাস দিয়ে পরীক্ষা করা হলো। জানা গেল দুটি কয়েন আসল। বাকি দুটি নকল। চারশো বছরের পুরনো দুটি কয়েনের দাম চাওয়া হলো ৫ কোটি টাকা। ক্রেতারা সন্তুষ্ট হয়ে ৪০ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়ার পর বাকি টাকা পরিশোধের তারিখ ঠিক করে বিদায় নিলেন। 

নির্দিষ্ট তারিখে কয়েন দেওয়ার কথা থাকলেও বিক্রেতা ও দালালের কোনো খবর নেই। বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন ক্রেতা।

পরে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে তিন দালাল ও এক রসায়নবিদকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪২টি কয়েন উদ্ধার করা হয়। এ চক্রের আরেক সদস্যকে সাভার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে অভিযান চালানো হয় মানিকগঞ্জে। সেখানকার একটি বাঁশ ঝাড় থেকে উদ্ধার করা হয় ১১ লাখ টাকা। 

পুলিশ জানায়, তামা গলিয়ে তৈরি করা হয় এসব কয়েন। তাতে খোদাই করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নাম লেখা হয়। ইচ্ছে মতো বসানো হয় সন তারিখ। এই কয়েনগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে ম্যাগটেনিক কয়েন। প্রতিটি কয়েন বিক্রি করা হচ্ছে কোটি টাকায়। অথচ একটি কয়েন তৈরিতে খরচ মাত্র সত্তর থেকে আশি টাকা। 

প্রতারিত হওয়া ঐ ক্রেতা বলেন, কয়েন বিক্রির কথা বলে আমাকে নিয়ে গেছে। তখন আমার কাছে বিক্রির কথা বলে স্ট্যাম্প করে ৪০ লাখ টাকা নিয়েছে। এ সব ভণ্ড-প্রতারকরা এমন পরিবেশ তৈরি করে যে মানুষের তখন আর বিবেক বুদ্ধি কাজ করে না। 

চক্রের এক সদস্য বলেন, আসলে এগুলো ভুয়া। এরমধ্যে কিছুই নেই। শুধু তামা দিয়ে বানানো। আমরা এগুলো গুলিস্তান থেকে কিনে আনি। কিছু টাকার বিনিময়ে আমরা এ গুলো করি। 

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, এই চক্রটি শত বছরের পুরানো কয়েন দরকার এমন লোকদের টার্গেট করে। পরে নিজেরাই দালাল ও বিদেশি ক্রেতা সেজে কোনো তারকা হোটেলে নিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে দেখায় এবং একেকটির দাম হাঁকে ৪-৫ কোটি টাকা। 

তিনি বলেন, সাধারণ তামা দিয়ে এসব কয়েন তৈরি হয় যাতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নাম লিখে দেওয়া হয়। এই কয়েনগুলোকে একদল প্রতারকরা গুলিস্তান থেকে কিনে নেয়। আসলে এই কয়েনটার মূল্য ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু সেটার জন্য প্রতারকরা কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। 

ঢাকা মহানগরর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) ডিসি মো. হারুন অর রশীদ বলেন, এ রকম প্রতারক চক্র বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। এমন অস্বাভাবিক কোনো কিছু যদি কেউ অফার  করে যেমন দ্রুত বড়লোক হওয়া যাবে এ রকম অফার থেকে আমরা যেন সাবধান হই।