ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

হেলেনার ফাঁদে পড়ে যারা খুইয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১ আগস্ট ২০২১  

বিভিন্ন সময় নানাভাবে আলোচনা-সমালোচনায় আসা হেলেনা জাহাঙ্গীরের একের পর এক অপকর্ম ও চাঁদাবাজির খবর প্রকাশ্যে আসছে। নিজের উদ্দেশ্য হাসিলে যেকোনো পন্থা ব্যবহার করতেন হেলেনা। কখনও সখ্য তৈরি করে ব্ল্যাকমেইল করে, আবার কখনো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তোলা ছবি ব্যবহার করে উদ্দেশ্য হাসিল করতেন তিনি। তার প্রতারণার নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে আছে দেশ-বিদেশের আনাচে-কানাচে।

জানা গেছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলতে প্রথমে টার্গেট করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। এরপর তার সঙ্গে কৌশলে সখ্য গড়ে তুলতেন। সেই সখ্যের সুযোগ নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে তিনি কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নিতেন দাবি করেছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, হেলেনা সুনির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির জন্য থেমে থাকেননি। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য যাকেই প্রয়োজন হয়েছে তাকে তিনি ঘায়েল করেছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন এবং সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছেন শুধু উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য।

এছাড়া জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের নামে দেশ-বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। দেশি-বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টার্গেট করে প্রথমে সখ্য তৈরি করে পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করতেন হেলেনা। এছাড়া অবৈধ জয়যাত্রা আইপি টিভির মাধ্যমে দেশ-বিদেশে প্রতিনিধির মাধ্যমেও তিনি চাঁদাবাজি করেছেন। তার নিজস্ব সাইবার টিমও রয়েছে। কেউ তাকে নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করলে তাদের ঘায়েল করার দায়িত্ব ছিল ওই সাইবার টিমের।

খন্দকার আল মঈন বলেন, হেলেনা জাহাঙ্গীরের স্বামী ১৯৯০ সাল থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে অন্যদের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে এখন পর্যন্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তিনি।

গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। প্রায় সোয়া চার ঘণ্টার অভিযানে ওই বাসা থেকে বিদেশি মদ, বিদেশি মুদ্রা, হরিণ ও ক্যাঙারুর চামড়া, ক্যাসিনোর সরঞ্জাম ও ওয়াকিটকি সেট উদ্ধার করা হয়। এরপর হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়।