ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অবৈধ আমদানীকারকদের বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে স্যামসাং

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০১৯  

মোবাইল ও কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য (টিভি, মনিটর ইত্যাদি) অবৈধভাবে আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে সমপ্রতি রায় দিয়েছেন ঢাকা জেলা জজ আদালত। আদালত তার রায়ে সকল অবৈধ আমদানিকারককে স্যামসাং ব্র্যান্ড পণ্যের আমদানি ও বিতরণসহ বাজারজাত করা এবং বিক্রয় করার উপর চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

উল্লেখ্য, ১০ জন অবৈধ মোবাইল আমদানিকারক এবং ১১ জন অবৈধ কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স কোং. লিমিটেড (দ: কোরিয়া) এবং স্যামসাং ইন্ডিয়া ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড যৌথভাবে স্যামসাং বাংলাদেশ অফিসের মাধ্যমে ঢাকা জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

পণ্যের অবৈধ আমদানি এবং বিক্রয় দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, আর এই কারণে এর অবৈধ আমদানি এবং বিক্রয় প্রচলিত আইন দ্বারা নিষিদ্ধ। যেমন, আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮-এর ১৫ ধারা অনুযায়ী, নকল ট্রেডমার্কযুক্ত এবং মিথ্যা বাণিজ্যিক বর্ণনাযুক্ত পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ। শুধু তাই নয়, মোবাইলের মতো প্রযুক্তিপণ্যের অবৈধ আমদানি এবং বিক্রয় সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও জন-নিরাপত্তার সঙ্গেও জড়িত। এই কারণে সম্প্রতি বিটিআরসি দেশের সকল মোবাইল ডিভাইস নিবন্ধনের আওতায় আনার কাজ শুরু করেছে।

আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮-এর ৬ ধারা অনুযায়ী, মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে নিবন্ধিত ব্র্যান্ডের পণ্য সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডের পণ্যের স্বত্বাধিকারী কর্তৃক সত্যায়িত মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত সনদপত্র পণ্য খালাসের সময় শুল্ক কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক।

কিন্তু অবৈধ আমদানিকারকেরা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে তাদের অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রসঙ্গত, স্যামসাং ট্রেডমার্ক ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে নিবন্ধিত।

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রতি ১০০টি মোবাইলের ক্ষেত্রে প্রায় ৪০টি অবৈধভাবে আমদানিকৃত, টিভির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা প্রতি ১০০টিতে প্রায় ২৫টি।

স্যামসাং বাংলাদেশ অফিসের হেড অব সাপ্লাই চেইন এবং ম্যানুফ্যাকচারিং অপারেশনস শফিকুল এম. ইসলাম বলেন, ‘আমরা আদালতের এই যুগান্তকারী রায়কে স্বাগত জানাই। এর মাধ্যমে আইন মেনে যারা ব্যবসা করেন তারা উত্সাহিত হবেন, সরকার তার প্রাপ্য রাজস্ব পাবেন এবং ব্যবহারকারিগণ অসাধু আমদানিকারকদের প্রতারণা থেকে রক্ষা পাবেন। এই রায়ের প্রেক্ষিতে আমরা আশা করছি, পণ্য চালান ছাড়ের ক্ষেত্রে শুল্ক কর্তৃপক্ষ আরো সজাগ হবেন এবং একই সঙ্গে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ অবৈধ এই সকল ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড রোধে আরো তত্পর হবেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সম্মানিত ক্রেতাসাধারণকে শুধু অনুমোদিত শোরুম থেকে আসল স্যামসাং পণ্য কেনার জন্য অনুরোধ করে থাকি। অনুমোদনহীন বা অবৈধ পণ্য ক্রয়ে অরিজিনাল স্যামসাং ওয়ারেন্টি/ গ্যারান্টি থাকে না এবং বিক্রয় পরবর্তী সেবা পাওয়া যায় না।’