ফেনীর আদালতে ঐতিহাসিক রায়
নোয়াখালী সমাচার
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
ফেনীর আদালতে এই প্রথম অপরাধের ধরণ বিবেচনায় ঘোষিত দন্ড স্থগিত করে আসামীকে ১ বছরের জন্য সংশোধনের উদ্দেশ্যে ৮টি শর্তে জামিন প্রদান করেন আদালত। ফেনীর আদালতে এটিই প্রথম ঐতিহাসিক প্রবেসন আদেশ। এর আগে ফেনীতে এ ধরনের কোন আদেশ প্রদান করার নজির নাই। গতকাল সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভারপ্রাপ্ত জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো: জাকির হোসাইন এ আদেশ প্রদান করেন।
আসামীপক্ষের আইনজীবীসহ উপস্থিত আইনজীবীরা এ আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ শাহানুর আলম জানায়,ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের উত্তর তারাকুচা গ্রামের মৃত এরশাদ পাটোয়ারীর ছেলে এনায়েত পাটোয়ারী (৫৩) কে ১৫শ গ্রাম গাঁজাসহ ফেনী মডেল থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী আসামী এনায়েত পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ১৯ (১) এর টেবিল ৭ (ক) ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালতে ৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল মামলার যুক্তিতর্ক শোনে আদালত আসামীকে ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করে আদেশ প্রদান করেন। একই আদালত আসামীর বর্তমান বয়স ও পারিপার্শ্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আসামীর বিরুদ্ধে ঘোষিত দন্ড ১ বছরের জন্য স্থগিত করে আসামী এনায়েত পাটোয়ারীকে The Probation of Offenders Ordinance, 1960 অনুযায়ী এক বছরের জন্য ৮ শর্তে প্রবেসনার কর্মকর্তা জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফেনী’র অধীনে সংশোধনের উদ্দেশ্যে প্রবেসন প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আদেশ প্রদান করেন।
আদালতের নির্দেশিত প্রবেশনের শর্তসমূহ:
১। আসামী কখনো মাদক গ্রহণ, পরিবহন ও বিক্রয় করবেনা। ২। আসামী মাদক বিরোধী জনমত ও আন্দোলন এবং জনসচেতনতায় ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণ করবে ও ভূমিকা রাখবে। ৩। আসামীর জীবিত মাতাকে দেখাশোনা ও পর্যাপ্ত ভরন-পোষণ প্রদান করবে। ৪। আসামী প্রবেসনকালীন সময়ে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযোদ্ধের উপর দুটি সিনেমা দেখতে হবে এবং দেশপ্রেমের বিষয় মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। ৫। আসামী তার নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় ৩টি ফলজ গাছ ও তার গ্রামের মাঝে ৩০টি বনজ গাছ রোপন করে প্রবেসন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। ৬। আসামীকে ফেনী সদর উপজেলার যে কোন একটি এতিমখানায় ২০জন এতিমকে এক দিনের খাবার সরবরাহ করে বিষয়টি লিখিতভাবে জানাতে হবে। ৭। আসামীকে সংশোধীত হওয়ার নিমিত্তে দৈনিক ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করতে হবে। ৮। এবং উপরোক্ত বিষয় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রবেসন কর্মকর্তার সাথে প্রতিমাসে একবার দেখা করে শর্ত সমূহের অগ্রগতি জানাতে হবে। এছাড়া প্রবেসন কর্মকর্তার সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে তার নির্দেশিত মতে আসামী নিজেকে পরিচালিত করার চেষ্টা করতে হবে।
★ঐতিহাসিক রায়ে আইনজীবীদের প্রতিক্রিয়া
ফেনীর আদালতে ঐতিহাসিক প্রবেসন আদেশে জেলা আইনজীবীদের প্রতিক্রিয়ায় সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট জাহিদ হোসেন খসরু বলেন, এধরনের রায় ফেনীতে প্রথম হওয়ায় সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে বলে বিশ্বাস করি। বিজ্ঞ বিচারক মো: জাকির হোসাইন ফেনীতে আসার পর বিচক্ষনতার সহিত বিচারকার্য পরিচালনা করে আসছেন। তিনি একজন প্রাজ্ঞ, দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি। এ ধরনের রায় দিয়ে ফেনীতে নজির সৃষ্টি করেছেন তিনি। এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে মাদকের অপরাধ কমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
এডভোকেট সৈদয় আবুল হোসেন বলেন, এই ঐতিহাসিক রায় প্রমাণ করে আদালত বরাবরই মানুষ ও সমাজকে পরিবর্তনের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক অত্যন্ত বিচক্ষণ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি। উনার সুচিন্তিত রায় সামাজিক অবক্ষয়রোধে ও অপরাধীকে অপরাধ প্রবণতা থেকে বিরত রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নান্টু বলেন, এ ধরনের রায় সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ রায় বিবেকসম্পন্ন অপরাধীকে লজ্জিত করবে। মানুষ কখনো কখনো অবচেতন মনে বা অসৎ সংস্পর্শে অপরাধের পথে পা বাড়ায়। একটা সময় কৃতকর্মের জন্য সে নিজেই লজ্জিত হয়। এ রায় অপরাধীর বিবেককে দংশিত বা নাড়া দিবে। বিজ্ঞ বিচারকের এই ঐতিহাসিক রায় ফেনীর জন্য নতুন ম্যাসেজ।
এডভোকেট শাহজাহান সাজু বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। এ রায় সমাজ সংস্কারের জন্য পথ প্রদর্শক হবে বলে মনে করি। কেননা, রায়ের ৮টি শর্তই একজন অপরাধীকে অপরাধ প্রবণতা থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করবে। বিজ্ঞ বিচারক মো: জাকির হোসাইন সাহেবের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অন্য বিচারকেরাও এগিয়ে এলে ছোট-খাটো অপরাধীরা সংশোধনের সুযোগ পাবে।
- দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না
- এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল
- এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি
- এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী
- সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ
- পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
- বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে
- নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী
- দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ
- দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
- বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার
- দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ
- বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- মুহুরী নদীতে গোসলে নেমে নৌবাহিনী সদস্যের মৃত্যু
- পাটাতন-রেলিং ভাঙা, জরাজীর্ণ ব্রিজই ভরসা
- নোয়াখালীতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য গ্রেফতার
- নোয়াখালীতে সন্ধান পাওয়া নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- নোয়াখালীতে ধান কাটার মেশিনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
- ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া
- মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর
- দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি
- ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত
- ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে
- চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস
- ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
- আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে
- আজ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-কুয়েত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
- পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
- নোয়াখালীতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য গ্রেফতার
- মুহুরী নদীতে গোসলে নেমে নৌবাহিনী সদস্যের মৃত্যু
- দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
- দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ
- ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া
- নোয়াখালীতে ধান কাটার মেশিনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
- বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ৫ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই
- নোয়াখালীতে সন্ধান পাওয়া নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির
- শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
- বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার
- পাটাতন-রেলিং ভাঙা, জরাজীর্ণ ব্রিজই ভরসা
- দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ
- নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী
- বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে
- এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী
- সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ
- এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি