ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা এড়াতে হচ্ছে হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২০  

বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, গ্যাস বিস্ফোরণ, দাহ্য পদার্থ ও রান্নাঘরের আগুনসহ বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড এড়াতে হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি ল্যাবে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের মান ও বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করা হবে।  

সম্প্রতি প্রকাশিত বিদ্যুৎ আইনের গেজেটে হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আইনের ৬২ ধারায় ল্যাব স্থাপনের কথা রয়েছে। 

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের উৎপাদিত ট্রান্সফরমার এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এই ল্যাব থেকে পরীক্ষা করিয়ে সার্টিফিকেট নিতে হবে। এতে করে ইলেকট্রনিক পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারি কোষাগারে অর্থও জমা হবে। কারণ মান যাচাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুনতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থও।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশজুড়ে ২৪ হাজার ৭৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে ঘটে ৮ হাজার ৬৪৪টি দুর্ঘটনা। যা মোট অগ্নিকাণ্ডের ৩৯ শতাংশ। 

এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা গেলে এমন অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের শুদ্ধতা নিশ্চিত করে পণ্যের গায়ে লেভেলিং করা গেলে গ্রাহকরা বৈদ্যুতিক পণ্য কেনার সময় সচেতন হবে। মানহীন বা নকল পণ্য তখন কম দামে পেলেও কিনবে না কেউ। ফলে এসব নিম্নমানের পণ্য ব্যবহারের কারণে শর্টসার্কিট থেকে হওয়া অগ্নিদুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। এতে করে অর্থনৈতিক লাভের পাশাপাশি অনেক প্রাণও সহজে বাঁচানো যাবে। 

এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যমকে বলেন, একটি বিশ্বমানের হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা হবে। এটি পাওয়ার সেলের অধীনে একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
 
এদিকে বর্তমানে দেশে ২০ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই বিদ্যুতে সেবা পাচ্ছে দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ। মুজিববর্ষেই দেশের শতভাগ অঞ্চল বিদ্যুতায়নের আওয়তায় আনা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে সরকার। যা দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধীরে ধীরে আরো বেশি গতিশীল হচ্ছে। জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীতে শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে যত্মের সঙ্গে কাজ করছে সরকার।