ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিশ্বের ৩০০ কোটি মানুষের কাছে সাবান-পানি নেই : জাতিসংঘ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২০  

বিশ্বজুড়ে যখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে তখন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জন্য প্রাথমিক সুরক্ষা হিসেবে সাবান-পানিই সবচেয়ে বেশি কার্যকর। তবে সেই সাবান-পানি নেই বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের কাছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে। এ দুই মহাদেশের বেশিরভাগ মানুষের জন্যই পর্যাপ্ত পানি নেই।

বৃহস্পতিবার এক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।

চীনের উহানে প্রথমে শনাক্ত হওয়া এ ভাইরাস এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে  ১০ হাজার ৪০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫১ হাজার ৯৭৪ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮৯ হাজার ০৫৪ জন।

চীনে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজার ৯৬৭ জন । মারা গেছে ৩ হাজার ২৪৮ জন। প্রায় দুই মাস তাণ্ডব চালানোর পর এ মুহূর্তে চীনে এর প্রকোপ কমে এসেছে।

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এখন সবার ওপরে আছে ইউরোপের দেশ ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরো ৪২৭ জনের মারা গেছেন। এ নিয়ে ইউরোপের দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০৫ জনে। গত বুধবার ইতালিতে একদিনে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪৭৫ জন কোভিড-১৯ রোগী। এখন পর্যন্ত এটাই যেকোনো দেশের জন্য একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

জানা গেছে, বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশই তাদের নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছে। আর করোনার কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশও ভ্রমণে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়া কোয়ারেন্টাইন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাসহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। চলাচল সীমিত না করলে সংক্রামক এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে এ ভাইরাস প্রতিরোধের প্রাথমিক হাতিয়ারই নেই লাখ লাখ মানুষের কছে। জাতিসংঘ বলছে, অন্তত ৩০০ কোটি মানুষের কাছে হাত হওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। খানা জরিপ করে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ বা ৩০০ কোটি মানুষের কাছে তাদের ঘরে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয় জিনিস নেই।

পূর্ব এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনিসেফের পানি ও স্যানিটেশন বিভাগের প্রধান স্যাম গডফ্রে বলেন, ভাইরাসটি এখন তার হাত প্রসারিত করেছে এশিয়া ও আফ্রিকার দরিদ্র অঞ্চলগুলোতে। এ দুই মহাদেশের বহু দেশই এরইমধ্যে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। তারপরও সংক্রমণ থামছে না। অতি দরিদ্র, দুর্বল অবকাঠামো ও নাজুক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে লাখো মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, অনেকের কাছে পানির অভাব রয়েছে, তারা সাবান কিনতে পারছেন না বা অসুস্থতা প্রতিরোধে এর গুরুত্ব কতটুকু তা উপলব্ধি করতে পারছেন না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, হাতে নোংরা দৃশ্যমান হলে সাবান-পানি দিয়ে ধুতে হবে। হাতের নোংরা দৃশ্যমান না হলে অ্যালকোহলসমৃদ্ধ হ্যান্ড রাব (হ্যান্ড স্যানিটাইজার) অথবা সাবান-পানি দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে।