ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

এক যুগেও পূর্ণতা পায়নি ফেনীর ভাষাশহীদ সালাম স্মৃতি জাদুঘর

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় ১৯৫২-এ জীবন দিয়েছিল সালাম, বরকত, জব্বার, রফিক, শফিউল্লাহসহ নাম না জানা অনেকে। তাদের রক্তের বিনিময়েই আজকে মুখে মুখে বাংলা ভাষা। এদের মধ্যে শহীদ আবদুস সালামের বাড়ি ফেনী শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের সালামনগরে (পূর্ব নাম লক্ষ্মণপুরে)। তার স্মৃতি রক্ষায় সেখানে একটি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার এক যুগ পার হওয়ার পরও তা পূর্ণতা পায়নি। জাদুঘরটিতে সালামের একটি ছবি ছাড়া সেখানে তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই। তাছাড়া স্থাপনাটি দেখভালের জন্য একজন কর্মচারী নিয়োজিত থাকলেও ভবনটি সময়মতো খোলা হয় না। দর্শনার্থীরা তাই হতাশ হয়ে ফিরে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, সালামের বাড়ির পাশে জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ১২ শতক জমির ওপর সালাম স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার নির্মাণ করা হয়। ২০০৮ সালে ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে জাদুঘরটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এরপর ২০১১ সালে স্থানীয় জেলা প্রশাসক স্থাপনাটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু স্মৃতি জাদুঘর শুধু নামেই। সেখানে শহীদ সালামের কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই। গ্রন্থাগারটিও পুরনো বই দিয়ে সাজানো। পড়ার জন্য কোনো ধরনের স্থানীয় বা জাতীয় পত্রিকাও রাখা হয় না। তাছাড়া জাদুঘর ও গ্রন্থাগারে যাওয়ার রাস্তাটিরও জীর্ণদশা। মাতুভূঞা ব্রিজ থেকে সালাম স্মৃতি জাদুঘরে যাওয়ার প্রধান সড়ক অনেকাংশই নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ভাষাশহীদ আবদুস সালামের ভাই আবদুল করিম জানান, ভাষাশহীদ আবদুস সালামের কবর চিহ্নিত করা হলেও করা হয়নি নামকরণ। সরকারিকরণ করা হয়নি গ্রন্থাগার ও জাদুঘরটিও। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি জাদুঘরের পাশে শহীদ মিনারে পুষ্পপস্তবক অর্পণে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আসেন। আর সারা বছর খবর রাখেন না কেউ।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, যাতে অল্প সময়ে রাস্তাটি মেরামত করা হয়। এদিকে অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে সংকট নিরসনের জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার মজুমদার তপন। তিনি বলেন, কর্তব্যে অবহেলার কারণে আগের গ্রন্থাগারিককে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই নতুন গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দেওয়া হবে।