ব্রেকিং:
দেশে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনো দিন হবে না এটা আমার শেষ বিসিএস ছিল, ৩-৪ মিনিটের জন্য স্বপ্ন ভেঙে গেল এক সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি এসটিপি ছাড়া নতুন ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী সাড়ে ৫৮ লাখ টাকার হাঙর ও শাপলাপাতা মাছ জব্দ পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন ৪ নভেম্বর দুর্গাপূজা: দেশজুড়ে মণ্ডপের নিরাপত্তায় ২ লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি ১৫ বছরে ধানের ৮০ নতুন জাত ঢাকা-না’গঞ্জ লিঙ্ক রোড ছয় লেন হচ্ছে চাপে থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তির আভাস ফিলিস্তিনের জন্য বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
  • সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পঞ্চাশ বছরে নোয়াখালীর আয়তন বেড়েছে ৭৩ কিলোমিটার

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২০  

নোয়াখালীর ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এর আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক যুগ ধরেই এই আয়তন বাড়ছে। নোয়াখালী জেলায় গত পঞ্চাশ বছরে ৭৩ কিলোমিটার (২8 বর্গ মাইল) বেশি জমি জেগে উঠেছে নদীগর্ভ থেকে। মেঘনা মোহনায় পলিমাটি জমা হয়ে পলিমাটির  যে চর গুলো জেগে উঠেছে সেগুলোর পরিমাণ ৭৩ কিঃমি। ধীরে ধীরে এটি আরো বাড়ছে।

নোয়াখালীর ভৌগলিক অবস্থান যদি বিবেচনা করি তাহলে এর উত্তর দিকে রয়েছে কুমিল্লা জেলা, দক্ষিণে রয়েছে মেঘনার মোহনা আর বঙ্গোপোসাগর। এই জেলার পূর্বে রয়েছে ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা আর পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর ও ভোলা জেলা। যদিও পূর্বে ফেনী, নোয়াখালী আর লক্ষ্মীপুর নিয়ে একটিই জেলা ছিল। কিন্তু প্রশাসনিক কাজের অগ্রগতির লক্ষ্যে এটিকে তিনটি জেলায় রূপান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ফেনী ও লক্ষ্মীপুর  আলাদা জেলা হিসেবে বিবেচিত হলেও তাদের নোয়াখালীর সাথে রয়েছে আত্মার সর্ম্পক। তাদের আচরণ -ব্যবহার ও ভাষাগত বৈশিষ্ট্য একই রকম।

নোয়াখালী জেলার আয়তন ৪২০২ বর্গ কিঃমি বা ১৬২২ বর্গমাইল। এটি সমতল ভূমি ও উপকূলীয় অঞ্চল নিয়ে গঠিত।মেঘনা নদীর মোহনা জোয়ারের প্রভাবে এটি নতুন ভূমি সৃষ্টি করছে। নোয়াখালী অঞ্চলটি জোয়ার ভাটা দ্বারা প্রভাবিত হয়। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চরৈ প্রায়ই জোয়ার ভাটার প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তবে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এর জোয়ার ভাটারও এর কম বেশী হয়।বর্ষাকালে জোয়ার সবচেয়ে বেশী থাকে।

নোয়াখালীর তিনদিকে একটি বিরাট আকারের সমভূমি তৈরি হচ্ছে।মেঘনা নদীর মোহনায় দীর্ঘকাল ধরে  নদীর পলি জমা হয়ে পললভূমির মাটি গঠিত হচ্ছে। হিমালয় থেকে নেমে আসা তীব্র স্রোত উর্বর পলি বহন করে নিয়ে আসে ।যখন এটি বঙ্গোপসাগর পৌঁছায় তখন উপকূল বরাবর দ্রবীভূত হওয়ায় ধীরে ধীরে নতুন ভূমি তৈরি হয় যেগুলোকে আমরা “চর” নাম দিয়ে থাকি। যেহেতু এটি মেঘনার মোহনায় অবস্থিত তাই প্রতিনিয়নত পলি মাটির কারণে এর উর্বরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।ফলে এইগুলো চাষাবাদের জন্য বেশ উপযোগী হয়।

নোয়াখালীর জলবায়ু হলো গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু। বছরের বেশিরভাগ সময়ে এখানে উল্লেখযোগ্য হারে বৃষ্টিপাত হয়। নোয়াখালীতে গড় গড় তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রায় ৩৩০২ মিলি মিটার বা ১৩০ ইঞ্চি।

এই অঞ্চলের মে মাসে সবচেয়ে বেশী উষ্ণতা থাকে।তখন তাপমাত্রা গড়ে ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। আর জানুয়ারি মাস হলো সবচেয়ে বেশী শীতের সময়, তখন গড় তাপমাত্রা ১৯.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হয়। এখন পর্যন্ত জুলাই মাসেই বৃষ্টিপাতের সর্বোচ্চ গড় ৬৭১ মিমি ছিল।