ব্রেকিং:
লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র সুবর্ণচরে এক বুথে ঘণ্টায় পড়ল ১ ভোট ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ইউনিয়নে উন্নয়ন বন্ধ করার হুমকি এমপিপত্নীর নোয়াখালীতে ভোটের আগের রাতে টাকা বিতরণের অভিযোগ আওয়ামী লীগে স্বজনদের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নরমাল ডেলিভারিতে ফিরে এসেছে স্বস্তি

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০১৯  

লক্ষ্মীপুর মা শিশু কল্যান কেন্দ্রে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। কমে আসছে অপ্রয়োজনীয় সিজারের সংখ্যাও। অপরদিকে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা বাড়ায় রোগী ও স্বজনদের মধ্যে ফিরে এসেছে স্বস্তি। গত জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ ৯ মাসে গর্ভবর্তী, সাধারন, শিশু ও কিশোরসহ এ ক্লিনিক থেকে প্রায় দেড় হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। যেখানে এ ক্লিনিকে প্রতিনিয়ত একাধিক সিজার করা হতো। এ সময়ের মধ্যে সিজার হয়েছিল ১৭টি। যা গত বছরে এ সিজারের সংখ্যা ছিল তিনগুন। অপরদিকে নরমাল ডেলিভারি হয়েছে ৯শ ৭৬টি। নরমাল ডেলিভারীর সংখ্যা বাড়ায় রোগী ও স্বজনদের মধ্যে ফিরে এসেছে স্বস্তি। এতে করে দিন দিনেই বেড়েই চলছে রোগীর সংখ্যা।

রোগী ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর মা শিশু কল্যান কেন্দ্রে প্রতিজন রোগী আউটডোর দেখাতে হলে ২০/৩০ টাকা টিকেট করে চিকিৎসক সেবা নিতে হতো। কিন্তু ২০১৮ সালে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে (ক্লিনিক) মেডিকেল অফিসার হিসেব যোগদান করেন ডাঃ হ্যাপী কর্মকার। এরপর থেকে সেবার মান বেড়ে যাওয়ায় রোগীরা নানা ধরনের হয়রানী থেকে রক্ষা পায়। এছাড়া জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি নিতে (স্থায়ী-অস্থায়ী) আগ্রহীরা বরাদ্ধকৃত সুবিধা সময় মতো পেয়ে যান বলে জানান তারা।

এ দিকে গর্ভবতী মায়েরা প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ক্লিনিকে আসার পর চিকিৎসক ডাঃ হ্যাপী কর্মকার সিজার না করিয়ে নরমাল ডেলিভারি করানোর জন্য চেষ্টা করেন। যেখানে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজার করতে ২০/২৫ হাজার ও নরমাল ডেলিভারি ৫/১০ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে বিনা পয়সা সে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে এ ক্লিনিক থেকে। সিজারের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং নরমাল ডেলিভারি সংখ্যা বাড়ায় খুশি রোগী ও স্বজনরা। এতে করে সাধারন মানুষের মাঝে ফিরে এসেছে স্বস্তি। পূর্বে অভিযোগ ছিল, ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবার মান ও দূর্নীতি এবং অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হতো এ ক্লিনিক। কিন্তু সে দূর্নাম কাটিয়ে এখন সেবার মান নিয়ে নেই কোন হয়ারনী ও অভিযোগ।

শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেবা নিতে আসা রোগীরা ভিড় করছে ক্লিনিকে। এসময় কথা হয়, রহিমা বেগম ও ছালেহা আক্তারের সাথে। তারা এ প্রতিবেদককে জানান, আউটডোরে চিকিৎসা নিতে হলেও কোন টিকেট নিতে হয়না। এর আগে আরো কয়েকবার এ ক্লিনিকে আউটডোরে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ২০/৩০ টাকায়ও টিকিটে নিতে হিমশিম খেতে হতো। এখন বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা পেয়ে খুশি। এভাবে যেন সেবার মান বজায় থাকে, সে আশা করেন সেবা নিতে আসা রোগীরা।

লক্ষ্মীপুর মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র (ক্লিনিক) মেডিকেল অফিসার ডাঃ হ্যাপী কর্মকার জানান, যোগদান করার পর থেকে চেষ্টা করছি,যেন সাধারন মানুষ সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা পায়। আউটডোরে কোন টিকিট নিতে হয়না। এছাড়া বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও সকল ধরনের ঔষধ পায় সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। এরপরও যদি কোন মানুষ চিকিৎসা নিতে এসে ক্লিনিকের কোন কর্মচারীর মাধ্যমে হয়রানী হয়, তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ দিকে জেলা স্বাচিবের সভাপতি ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, এক সময়ে এ ক্লিনিকে তেমন সেবার মান ছিলনা। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিল। কিন্তু এখন সম্পূর্ণ তার উল্টো। প্রতিনিয়ত মানুষ সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে বলে দাবী করেন তিনি। এভাবে যেন সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পায়, সেটি নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

অপরদিকে জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ আশফাকুর রহমান মামুন জানান, লক্ষ্মীপুর মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রসহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবার মান আগের চেয়ে অনেকগুন বেড়েছে। সিজারের সংখ্যাও অনেক কমিয়ে বেড়েছে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা। এছাড়া মাতৃত্বকালীন সকল চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।