ব্রেকিং:
লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টিতে ভোটার শূন্য কেন্দ্র সুবর্ণচরে এক বুথে ঘণ্টায় পড়ল ১ ভোট ছেলের বিরুদ্ধে ভোট করলে ইউনিয়নে উন্নয়ন বন্ধ করার হুমকি এমপিপত্নীর নোয়াখালীতে ভোটের আগের রাতে টাকা বিতরণের অভিযোগ আওয়ামী লীগে স্বজনদের নির্বাচনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের সন্ত্রাসী নিহত উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নোয়াখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি দুপুরের মধ্যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস তেলের দাম বাড়াল সৌদি ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি, আ.লীগ নেতাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নোবিপ্রবিতে চালু হলো প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম তিন রাত শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট বন্ধ নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মাসহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ র‍‍্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা খরচ হবে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়া ফাঁদ সন্ত্রাসবাদে ঢাকার সাফল্যের প্রশংসা মার্কিন দপ্তরের রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
  • বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

কারেন্ট জালে বিলুপ্ত ইলিশ

নোয়াখালী সমাচার

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০১৯  

জাটকার প্রধানতম শত্রু কারেন্ট জাল। ইলিশকে জাদুঘরে পাঠাতে এই কারেন্ট জালই যথেষ্ট। এর দ্বারা ইলিশের বংশ নির্বংশ করা সম্ভব। নামে যেমন কারেন্ট, কাজেও তেমনি। তার কাজ যেনো কারেন্টের মতো। কোনো জাটকা একবার এই জালের সাথে লাগলেই চলে, বাঁচার আর উপায় নেই, তাকে জালে আটকা পড়তেই হবে। এভাবেই প্রতি বছর কারেন্ট জাল দিয়ে টনে টনে জাটকা নিধন করা হয়। আর এ সুযোগটি জেলেরা পাচ্ছে কারেন্ট জাল সহজলভ্য হওয়াতে। কারেন্ট জালের উৎপাদন, বিপণন সবকিছুই স্বাভাবিক রেখে সরকারের জাটকা রক্ষা কর্মসূচি ঘোষণা যে কতটা আত্মঘাতী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা নিজের সাথে নিজের প্রতারণারই শামিল।

 


চাঁদপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কারেন্ট জাল উৎপাদন, বিপণন, ব্যবহার সবকিছু সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। অথচ সবকিছুই ঠিক আছে। অর্থাৎ কারেন্ট জাল উৎপাদনও হচ্ছে শতভাগ, আবার বিপণন ও ব্যবহারও হচ্ছে পুরোদমে। বাস্তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা কাগজে কলমে। একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিপণন সংক্রান্ত হাইকোর্টে রিট হয়েছে ৫৭টি। সব রিট খারিজ হয়ে সরকারের পক্ষে রায় হয়েছে। তারপরও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় হাইকোর্টের রায় কিংবা সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি কোনো তোয়াক্কা নেই জাটকার খুনিদের। তারা কারেন্ট জাল উৎপাদন, বিপণন সবকিছুই করছে। অথচ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সেদিকে কোনো নজর নেই। আবার এটিকে ভিন্নভাবে বললে 'ম্যানেজ' হওয়ার বিষয়টি চলে আসে। এখানেও সেই পুরানো কথা এসে যায় 'সর্ষের মধ্যে ভূত'।

 


জানা গেছে, পুরো মুন্সীগঞ্জ জেলা জুড়ে রয়েছে কারেন্ট জাল উৎপাদনের বহু কারখানা। মুন্সীগঞ্জে মুক্তারপুর নামে একটি উপজেলা রয়েছে, এখানকার প্রতিটি গ্রামে রয়েছে ছোট-বড় অনেক কারেন্ট জাল তৈরির কারখানা। এই জায়গাগুলোতে একবারও প্রশাসনের কোনো অভিযান হয়েছে বলে শোনা যায়নি। সেখান থেকে কারেন্ট জালের পাইকারী ক্রেতারা নির্বিঘ্নে কিনে আনছে, নিজ ব্যবসা কেন্দ্র্রে রেখে জেলেদের কাছে বিক্রিও করছে কোনো রকমের ঝামেলা ছাড়া। উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত কোথাও কোনো বাধা-বিপত্তি নেই। অথচ ব্যবহারকারী গরিব জেলের উপর চলে আইনের খড়গ! তবে মাঝেমধ্যে খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযান চালাতে দেখা যায়। যেমন এখন পুরাণবাজারের প্রায় প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কারেন্ট জালের স্তূপ পাওয়া যাবে। আবার অনেকের বসতঘরেও কারেন্ট জালের গোডাউন পাওয়া যাবে। অথচ প্রশাসন ওইসব জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে না। সেখান থেকে ক্রয় করে জেলেরা যখন নদীতে নামবে, তখন প্রশাসনের অভিযানে আটক হবে জেলেদের জাল। প্রশ্ন হচ্ছে-এটি কেমন দ্বিমুখী আচরণ প্রশাসনের? বেচারা জেলে সবদিক দিয়েই মার খাচ্ছে। অথচ যারা ব্যবসা করার তারা ঠিকই করে যাচ্ছে।

 


তাই মৎস্য বিভাগ, জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, সাধারণ জনগণ সকলের কথা একটাই-কারেন্ট জাল উৎপাদন বন্ধ না করে জাটকা রক্ষা করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সরকারকে আগে সে জায়গায় হাত দিতে হবে। সমস্যার মূলে না গিয়ে প্রতি বছর জাটকা রক্ষা ও মা ইলিশ নিধন নিষিদ্ধ কর্মসূচির নামে সরকারের শত শত কোটি টাকা জলে যাচ্ছে এবং লুটপাটও হচ্ছে। আর যদি কারেন্ট জালের উৎপাদন শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা যায়, তাহলে কোনো অভিযানও লাগবে না।